এই মুহূর্তে

টয়লেটে বসে বিদ্যালাভ, প্রশ্নের মুখে ছত্তিশগড় সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: টয়লেটে বসে পড়াশোনা করছে শিক্ষার্থীরা, সেখানেই চাদর পেতে ঘুমিয়ে পড়ছে তাঁরা। এ কি হাল শিক্ষার? আঙুল উঠছে ছত্তিশগড় সরকারের দিকে। সেখানে পরাধীন আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। পড়াশোনার জন্যে জুটছে না উপযুক্ত জায়গা, তাই বাধ্য হয়েই মলমূত্র ত্যাগ করার জায়গার উপরেই পড়াশোনা করতে হচ্ছে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয়, চাদর পেতে সেখানেই রাতের পর রাত কাটছে তাঁদের। আর সবটাই ঘটছে আবাসিক স্কুলের হোস্টেল কক্ষে। যেখানে হোস্টেলের টয়লেটই বেডরুমে পরিণত হয়েছে। তাহলে ছত্তিশগড় সরকার রাজ্যের শিক্ষার প্রতি কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ? সম্প্রতি বস্তার বিভাগের নারায়ণপুর জেলার ছোটেডোঙ্গার একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল থেকে তোলা হয়েছে ছবিটি। যা এখন নেটপাড়ায় রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। হোস্টেলের সরু কক্ষে বসবাসরত উপজাতি শিশুরা টয়লেট সিট ঢেকে এবং সেখানেই বিছানা পেতে দিনের পর দিন কাটাচ্ছেন। তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য লড়াই করছেন। একই সঙ্গে ছাত্রীদের স্নানাগারের কাছে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি নিয়ে ছত্তিশগড় সরকারকে আক্রমণ করেছে আম আদমি পার্টি। দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করা উচিত। আম আদমি পার্টির জেলা সভাপতি সুরজিৎ সিং ঠাকুর এফআইআর দাবি করে থানার ইনচার্জকে চিঠি দিয়েছেন। এমনকী সর্ব আদিবাসী সমাজ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সহিংস আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে এলাকায়। অতিরিক্ত জেলাশাসক বীরেন্দ্র বাহাদুর পঞ্চভাই জানিয়েছেন, একটি আদিবাসী স্কুলের হোস্টেলে মেয়েদের স্নানের জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাথরুমে ঘুমোচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টির তদন্ত শুরু করতে ওই স্কুলে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরে তাঁদের বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। গত দুই মাস ধরে বিদ্যালয়ের টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ। বাথরুমের দরজা ভাঙা। টয়লেটের দুর্গন্ধে ক্যাম্পাসে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা নেই, যার কারণে রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপতে হচ্ছে তাঁদের।

অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, বহুদিন ধরেই তাঁদের স্কুলের এমন সমস্যা নিয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কোনও পাত্তা দিচ্ছেন না। স্কুলের বিল্ডিংও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এখানে জলের সমস্যাও রয়েছে। অনেক সময় স্নান না করেই স্কুলে যেতে হয়। অনেকেই বাথরুমে ঘুমায়। এ বিষয়ে আম আদমি পার্টির জেলা সভাপতি বলেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই শিশুদের কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা একটি দল গঠন করে সোমবার আশ্রমে যাই। যেখানে গিয়ে দেখতে পাই, বাচ্চাদের জোর করে বাথরুমে ঘুমাতে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য বিছানাও নেই। সেখানকার শিশুরা খোলা জায়গায় স্নান করছে।’ এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের কার্যাবলী নিয়ে। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে নিজের গায়ে আগুন ধরাল স্বামী, ৫০০ মিটার দৌড়ে যেতেই ছিটকে পড়ল দেহ

Mahakumbh: এ কী কাণ্ড! ইউটিউবার-এর প্রশ্নে রেগে গিয়ে চিমটে দিয়ে পেটালেন নাগা সন্ন্যাসী

পুদুচেরিতে HMPV-তে আক্রান্ত ৩ বছরের শিশু, দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৮

শত্রুরা সাবধান! আর্মি ডে’র কুচকাওয়াজে প্রথমবার অংশ নিচ্ছে রোবট সেনা

বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নেমে মন্দির থেকে রুপোর মূর্তি নিয়ে চম্পট, চোরের পরিচয় জানলে আঁতকে উঠবেন

সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দিলে এবার মিলবে ২৫ হাজার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর