এই মুহূর্তে




‘এটা কফি শপ নয়’, আইনজীবীকে তিরস্কার প্রধান বিচারপতির




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আজ সোমবার, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে হত্যার মামলার পরবর্তী শুনানি। কি হবে আজ শুনানিতে, তা নিয়ে আশার আলো দেখছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও আজ শুনানি সকালে নয় দুপুরে হবে। এমন পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এল আর একটি নতুন ঘটনা। গতকাল প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড় একটি শুনানির সময় আইনজীবী দের উদ্দেশ্যে কিছু কঠোর মন্তব্য করেছেন। গতকাল একটি শুনানির সময় এক আবেদনকারী আইনজীবী বেঞ্চকে সম্বোধনের সময় ‘হ্যাঁ’ শব্দটি ব্যবহার করলে বিচারপতি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেছেন। এবং সঠিক শব্দচায়ণ শিখিয়েও দিয়েছেন। এবং বিচারপতি কোর্টে ঠিকমতো শব্দ ব্যবহার হচ্ছেনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। প্রধান বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে আইনজীবীকে তিরস্কার করে বরেছেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ বলবেন না৷’ ‘হ্যাঁ’ বলুন। এটা একটা কফি শপ নয়, আমার ‘হ্যাঁ’ তে আপত্তি আছে।” এবং শেষে তিনি আবেদনকারীকে তাঁর ভাষা সংশোধনের জন্য অনুরোধ করেন। এমনকী তিনি আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন, তিনি আদালতের কক্ষে রয়েছেন, কোনও ক্যাফে বা কফি শপে নেই। প্রধান বিচারপতি বক্তব্য দেওয়ার পর আইনজীবী তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষমা চেয়ে তার যুক্তি উপস্থাপন করতে থাকেন। কিন্তু, তিনি আবারও নড়বড়ে হয়ে পড়েন, যখন তিনি সিজেআইকে উত্তর দেওয়ার সময় ‘ইয়া’ ব্যবহার করেছিলেন। এরপরেও ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি, তিনিও বলেন ইয়া ব্যবহার করাও যাবেনা।

আসলে গতকাল ২০১৮ সালের একটি মামলায়, আবেদনকারী আইনজীবী নিজের প্রতিনিধিত্ব করে, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে চাকরি থেকে অবৈধভাবে অবসানের একটি অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর সেই আবেদন কেন খারিজ করা হল, সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি গগইয়ের বিরুদ্ধে একটি তদন্তও চেয়েছিলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় যখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তখন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তাঁকে উল্টে প্রশ্ন করেছিলেন যে, ‘বিষয়টি ৩২ ধারার আবেদনের জন্য আদৌ কি উপযুক্ত? আপনি কীভাবে একজন বিচারককে একজন উত্তরদাতা হিসাবে পিআইএল দায়ের করতে পারেন?’ এর উত্তরেই আবেদনকারী আইনজীবী জবাবে বলেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, তৎকালীন সিজেআই রঞ্জন গগৈ। আমাকে কিউরেটিভ ফাইল করতে বলা হয়েছিল।” এরপরেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘গগৈ এই আদালতের একজন প্রাক্তন বিচারক ছিলেন এবং আপনি একজন বিচারকের বিরুদ্ধে এই ধরনের আবেদন করতে পারবেন না এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত চাইতেও পারবেন না কারণ আপনি বেঞ্চের সামনে সফল হননি।” আবেদনকারী তখন মামলার প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে বলেন, “কিন্তু বিচারপতি গগই যে বিবৃতিটিকে আমি অবৈধ বলে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম তার উপর নির্ভর করে আমার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আমার কোনও দোষ ছিল না, আমি সিজেআই ঠাকুরকে একটি বেঞ্চ কনভারসেন্টের সামনে আমার রিভিউ আবেদনটি সরানোর জন্য অনুরোধ করেছিলাম।

এরপর তিনি আমাকে বরখাস্ত করেন।” এরপর মারাঠি ভাষায় সংক্ষিপ্ত আলোচনার পর, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আবেদনকারীকে পিটিশন থেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গগৈয়ের নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। আসলে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এই বক্তব্য আদালতের কার্যক্রমে সময় নষ্ট হওয়ার প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে আইনজীবীরা মাঝে মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করছেন। তিনি আদালতের সময়ের মূল্য বোঝাতে এই মন্তব্য করেন এবং বলেন যে আদালতের কার্যক্রমে সকলের উচিত মনোযোগী ও পেশাদার থাকা। আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের প্রতি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। অনেকেই মনে করেন, বিচারপতির মন্তব্য আইন ব্যবস্থার গুণগত মান বজায় রাখতে সহায়ক হবে। তবে কিছু আইনজীবী মনে করেন, আদালতে চাপ মুক্ত পরিবেশ থাকা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের এই ঘটনা আইনজীবী এবং বিচারকদের মধ্যে পেশাদারিত্বের নতুন মানদণ্ড তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে, আদালত যথার্থ সময় ও সম্পদের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহীরুহ পতন, ৮৬ বছরে না ফেরার দেশে পাড়ি রতন টাটার

পুজোর মধ্যেই সরকারি বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে

লক্ষ্য ভারতে হামলা? ঢাকায় গোপন বৈঠক হামাস, তালিবান ও পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের

পুজো উপহার মোদি সরকারের, ২০২৮ পর্যন্ত মিলবে বিনামূল্যে রেশন

দিল্লির বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে যাবে না কেজরির আম আদমি পার্টি

যোগী রাজ্যে পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় আইনজীবীর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর