এই মুহূর্তে




শুধু ওষুধ নয়, এবার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও বহন করবে ড্রোন, বিমানের মত উড়বে আকাশে




নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার শুধু ছবি বা ভিডিও তুলতেই নয়, ড্রোনের মাধ্যমে পাঠানো যাবে অঙ্গ, ওষুধ এবং রক্তের নমুনার মতো একাধিক চিকিৎসা সংক্রান্ত জিনিসপত্র। অভিনব উদ্যোগ নিল চণ্ডীগড় PGI। ড্রোনের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চিকিৎসা জিনিসপত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চণ্ডীগড় PGI। এই নতুন উদ্যোগটি TELEMEDICON ২০২৪-এও প্রদর্শিত হয়েছে। যার ফলে জরুরী পরিস্থিতিতে রোগী দ্রুত চিকিৎসা পেতে সক্ষম হবে। PGI চণ্ডীগড় টেলিমেডিকন ২০২৪ সামিটে একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। ড্রোনের মাধ্যমে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অঙ্গ এবং ওষুধ সরবরাহ করা যাবে। বর্তমানে এই অভিনব উদ্যোগটি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

ইতিমধ্যেই টেলিমেডিকন সামিটের সময় এই ড্রোনটির কার্যকলাপ আলোচনা করা হয়েছে। যা স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত লোকদেরও আকৃষ্ট করেছে। জানা গিয়েছে, ড্রোনটির ওজন ১৮ কেজি এবং এটি ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন বইতে পারবে। এবং স্যাটেলাইট নেভিগেশনের সাহায্যে এই ড্রোনটি গন্তব্যে পৌঁছে দেবে সব জিনিসপত্র। একবার চার্জ দিলে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারবে ড্রোনটি। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, এটি ৪০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারবে এবং কম সময়ে তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতদিন শুধু ড্রোনের সাহায্য অভিনব ফটোগ্রাফী দেখেছেন সবাই, এবার ড্রোনের মাধ্যমে পাঠানো হবে অঙ্গ, ওষুধ-সহ একাধিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। যেটি নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ। এবং এই বিষয়টি চারিদিকে ব্যপক প্রশংসিতও হচ্ছে। কারণ এটি পরিবহনের সময় খুবই কমিয়ে দেবে। উদাহরণস্বরূপ, হিমাচল প্রদেশ থেকে পিজিআই চণ্ডীগড়ে অঙ্গ পরিবহন করতে অ্যাম্বুলেন্সে প্রায় চার ঘন্টা সময় লাগে, তবে ড্রোন এই কাজটি ঘন্টায় করতে সক্ষম হবে। এই বিষয়ে পিজিআই-এর টেলিমেডিসিন বিভাগের ডাঃ বিমান সাইকিয়া বলেছেন, আগে অঙ্গ আনা ও পাঠানোর জন্য একটি গ্রিন করিডোর তৈরি করতে হত।

অনেক সময় ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। এখন এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে দরিদ্রদের অঙ্গ সরাসরি পৌঁছে যাবে তাদের গন্তব্যে। এর আগে এইমস এবং বিলাসপুর এইমস-এও এটি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে সফল হল চণ্ডীগড় PGI। যদিও চণ্ডীগড় পিজিআই প্রত্যন্ত বা পাহাড়ি এলাকায় নয়, সব জায়গায় পৌঁছে দেবে। এই অপারেশনের জন্য, পিজিআইতে একটি বিশেষ ইউনিট স্থাপন করা হবে, যেখান থেকে জিপিএসের মাধ্যমে ড্রোনটির ট্র্যাকিং এবং অপারেশন করা হবে। এই ড্রোনের সাহায্যে কাছের হাসপাতাল থেকেও অঙ্গ পরিবহন করা যাবে। বর্তমানে, ফোর্টিস এবং ম্যাক্সের মতো বড় হাসপাতাল থেকে অঙ্গ আনতে ৪০-৫০ মিনিট সময় লাগে, তবে ড্রোনের সাহায্যে এই সময়টি অনেক কমে যাবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

টয়লেটে বসে বিদ্যালাভ, প্রশ্নের মুখে ছত্তিশগড় সরকার

সোনা-হিরে নয়, রাশিয়ার দোকান থেকে দেদার চুরি হচ্ছে মাখন, কারণ কী?

শীতে কাবু জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু

দিল্লি-ঢাকা সঙ্ঘাত চরমে, ভারতের রাষ্ট্রদূতকে তলব ইউনূস সরকারের

থানায় জমা পড়ল স্কুলের বাচ্চার পেন্সিল শার্পনার চুরির অভিযোগ, তদন্তে পুলিশ!

মঞ্চে ‘রামায়ণ’ চলাকালীন শুয়োরের পেট ছিঁড়ে মাংস ভোজন, গ্রেফতার অভিনেতা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর