এই মুহূর্তে




হামাসের বুদ্ধিতে ভারতে পাক হামলা, মোসাদের তথ্যে সতর্ক ভারত




নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়া দিল্লি: ভারত-পাক উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দেশই যেন বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী নীতি নিয়েছে। গত ২২ এপ্রিল ঘটা পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে ভারত চালিয়েছিল অপারেশন সিঁদুর অভিযান। তার পরিপ্রেক্ষীতে পাকিস্তান ভারতকে তাক করে একের পর এক মিসাইল লঞ্চ করেছে। পাল্টা দিয়েছে ভারতও। এর মধ্যেই ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা পেয়েছেন হাড়হিম করা তথ্য।

ভারত-পাক সংঘর্ষের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে হামাস যোগ। আচমকা প্রকট হয়ে পড়েছে প্যালেস্তাইনের সন্ত্রাস গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভারতের বিভিন্ন শহরে পাকিস্তান যেভাবে আচমকা ড্রোন হামলা চালিয়েছে তাতে একথাই যেন প্রমাণ হচ্ছে। হামাসের মতো করেই তারা হামলা চালাচ্ছে।

ভারতের মজবুত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম একের পর এক পাকিস্তানি ড্রোন ধ্বংস করেছে। সেগুলোর ভগ্নাংশ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের ইতিউতি। সেসব পরীক্ষা করতে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগার।  ড্রোনগুলির ভগ্নাংশ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বহু ড্রোনে সাধারণ বিস্ফোরক ভরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সামরিক পরিভাষায় এর নাম চিপ বম্ব। অর্থাৎ যেখানে পড়বে সেখানে ছোটখাটো ধ্বংসলীলার সৃষ্টি করবে।

গাজা স্ট্রিপ অথবা লেবানন থেকে ইজরায়েলের দিকে উড়ে আসা ড্রোন কিংবা সস্তা মিসা‌ইলের সঙ্গে এই হামলার রয়েছে অদ্ভুত রকমের মিল রয়েছে। ভারতের গুপ্তচর ও সিকিওরিটি এজেন্সির কাছে ইজরায়েলের মোসাদ ও আইডিএফ থেকে নানা রকম তথ্য এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে হামাস যোগের তথ্যও। গোয়েন্দারা বলছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআ‌ইয়ের সঙ্গে হামাস প্রতিনিধিরা বৈঠক চালাচ্ছে। কেন হঠাৎ হামাসের এত পাকিস্তানপ্রীতি জেগে উঠেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে।

ইজরায়েলি মোসাদ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ন্যাটোর পাঠানো বিপুল অস্ত্রশস্ত্রের একাংশ হাতিয়ে পাকিস্তানের জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্করের ফেসিলিটি সেন্টারে জমা করে হামাস। এই কাজ এক আধ বছর নয়, বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে। আসলে প্যালেস্তাইনে সব অস্ত্র নিয়ে গেলে মোসাদের কাছে ধরা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। তাই হামাসের সঙ্গে পাকিস্তানের এখন গলায় গলায় সম্পর্ক বলে মনে করা হচ্ছে।

আফগানিস্তান থেকে অস্ত্রশস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে হামাস জমা করেছে পশ্চিম পঞ্জাবের ভাওয়ালপুর এবং নারওয়ালে। এই দুটি জায়গাতেই জয়েশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার অস্ত্র মজুত হয়।

পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর প্রত্যক্ষদর্শী এবং ৯০ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ জানতে পারে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়, তার মধ্যে ছিল এম-৪ সিরিজের রাইফেল। এই রাইফেল সাধারণত মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর কাছে থাকে। তাহলে পাকিস্তানের কাছে এল কীভাবে? এরপরই ইজরায়েলি গোয়েন্দা ও ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের মাধ্যমে আসল খবর প্রকাশ্যে আসে।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে এসে সলিডারিটি দিবসে হামাসের প্রতিনিধি খালিদ কাদুমি ভাষণ দিয়েছে। ভারতের আক্রমণে পিওকে’র পাশাপাশি হামাসেরও বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। কারণ ভাওয়ালপুর ও নারওয়ালের জঙ্গি শিবির ধ্বংস হয়েছে অপারেশন সিঁদুরে। সেখানে এম-৪ সিরিজের স্নাইপার রাইফেল, নাইট ভিশন ডিভাইস, এনভিডি অ্যাটাচড রাইফেলও মজুত ছিল। তাই পাকিস্তানের পাশে আর কেউ থাকুক চাই না থাকুক, নিজ স্বার্থে হামাস যে রয়েছে তা বলা বাহুল্য। ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের বিশ্বাস পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে মদত দিচ্ছে হামাস। তাদের পরিকল্পনাতেই ভারত আক্রমণের সাহস পাচ্ছে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশটি।

ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং সারফেস টু এয়ার মিসাইল (স্যাম) কীভাবে কাজ করে, কত দ্রুত অ্যাকটিভ হয় এই সব কিছু পরীক্ষা করে দেখেছে পাকিস্তান। এই একই কাজ হামাসও করে। তাই বলা যায় জয়েশ-লস্কর-হামাস-খালিস্তানি টাইগার ফোর্স একসঙ্গে মিলে গেলে ভারতের সমূহ বিপদ।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণ, কী বার্তা?

পরবর্তী অপারেশনের জন্য তৈরি, হুঙ্কার ভারতীয় সেনার

প্রেমিকের সাহায্যে সন্তানকে খুন, ‘বাক্সবন্দি’ দেহ লোপাটের চেষ্টায় গ্রেফতার ২

যুদ্ধবিরতির জেরে শান্তির আবহ ভারত-পাক সীমান্তে

সুখবর, যাত্রী পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া হল যুদ্ধের জন্য বন্ধ করা ৩২ বিমানবন্দর

অপারেশন সিঁদুর অভিযানে গুঁড়িয়ে যাওয়া জঙ্গি ঘাঁটির উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর