নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে ভোটকুশলির কাজ ছেড়েছেন পিকে। কিন্তু তাঁর সংস্থা তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। রাজনীতিতে কোন দলে আসবেন? তা ঠিক নেই। কিন্তু তৃণমূলের হয়ে ভিতরে ভিতরে কাজ করে যাচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর। তা বোঝা গেলেও হাটে হাঁড়ি ভেঙে জানিয়ে দিলেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো।
বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে ও সরাসরি আমাকে এসে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা বলেনি। বরং আমার সামনে একটা গোয়ার বর্তমান পরিস্থিতির অ্যানালিসিস পেশ করেন। গোয়ার মানুষ বিজেপি’র উপর ক্ষুব্ধ। খনিজ উত্তোলন বন্ধ। অর্থনীতি ভেঙে পড়ার জোগাড়। এমন পরিস্থিতিতে দিদিই হচ্ছে একমাত্র শক্তি। কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে অপমান করে, আক্রমণ করে, মাত্রাতিরিক্ত প্রেশার দিয়েও যাকে নোয়াতে পারেনি বিজেপি। দেশের দিদি মতো একজন লিডার দরকার। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পর্যন্ত আমি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করিনি। আমি আই-প্যাক, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মিটিংয়ের পরই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সাতবারের কংগ্রেসের সাংসদ কিন্তু তৃণমূলে যোগদান করার কথা আচমকাই নিয়ে ফেলেন। এর জন্য ৪০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে বিধায়ক পদ ছেড়ে কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে ফালেইরো জানিয়েছিলেন, ‘আমি এর আগে কোনওদিন ওদের সঙ্গে দেখা করিনি। মমতা এবং অভিষেক দুজনেই অসাধারণ নেতা। শুধু তৃণমূলের নেতাই নন, তারা অন্যতম সেরা ন্যাশনাল লিডার। ৪০ বছর কাজ করার পর কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তটা আমার কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু গোয়ার স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমি সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলি।’