নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দিল্লির নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লি সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা বন্ধুর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের আগে মাদকাসক্ত করত বলে জানা গিয়েছে। নাবালিকার শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পরে পিতৃশোকে হতাশ থাকাকালীনও তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, নাবালিকাকে প্রথম ধর্ষণ করা হয় ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর। বাবা মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বুরারিতে অভিযুক্তের বাড়িতে তাঁকে রেখে আসে নাবালিকার মা। অভিযুক্ত কর্মকর্তা মেয়েটিকে নিরাপদে রাখবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। সেখানে ৫ মাস থাকার সময় সে ধর্ষিত হয়। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আর অভিযুক্তের বাড়িতে ফেরেনি নাবালিকা। বাবার মৃত্যু এবং যৌন নির্যাতনে রীতিমত ভীত ছিল পড়ুয়া।
অন্যদিকে অভিযুক্ত তদন্তে সহায়তা করছেননা বলেই জানা গিয়েছে। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত। দিল্লি সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের স্ত্রী সীমা রানীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাবালিকা গর্ভবতী হওয়ার পর অভিযুক্ত দম্পতির ২১ বছর বয়সী ছেলেকে দিয়ে গর্ভপাতের বড়ি কিনিয়েছিল বলে অভিযোগ।