নিজস্ব প্রতিনিধি : ফের আফতব কাণ্ড রাজধানীতে। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রেও এক ব্যক্তির দেহ খুন করে টুকরো টুকরো করে ফেলে তাঁর স্ত্রী ও পুত্র । সেই টুকরো ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং তার পর সেগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। নিহতের স্ত্রী এবং পুত্রকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পূর্ব দিল্লির ঘটনা।
উল্লেখ্য, শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুন করে লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব তাঁর দেহ টুকরো করে কেটেছিলেন। সেই দেহাংশ সংরক্ষণ করে রেখেছিল ফ্রিজে। এবং তারপর সে সেই দেহাংশ মেহরৌলীর জঙ্গলে ২০ দিন ধরে ফেলে আসে। আফতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার নির্মমতা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। তার মধ্যেই এমন আরও একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এল। জানা যায়, গত জুনে পাণ্ডব নগর একটি দেহাংশের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু পচেগলে যাওয়ায়, তা কার, তখন জানা যায়নি। শ্রদ্ধা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে ফের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হয় জুন মাসে উদ্ধার হওয়া দেহাংশ শ্রদ্ধার কি না। তখনই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে জানা যায়, ওই দেহাংশ অঞ্জন দাস নামে পাণ্ডব নগরের এক ব্যক্তির। তিনি সম্প্রতি এক বিবাহ -বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অঞ্জনের স্ত্রী পুনম এবং ছেলে দীপক এই বিষয়ে জানতে পেরে তাঁকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। অঞ্জনকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। তার পর তাঁকে খুন করে দেহ ২২ টুকরো করা হয়। সেই দেহ ফ্রিজে রাখা হয়। এবং তা পরে ফেলে আসা হয় বিভিন্ন জায়গায়। স্থানীয় বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পেয়েছে, গভীর রাতে ব্যাগ হাতে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন দীপক। পিছনে তাঁর মা। অন্য ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখছেন দু’জন। পরে ওই সব জায়গা থেকেই মেলে অঞ্জনের দেহাংশ। কাছাকাছি সময়ে একই ধরনের দুই কাণ্ড বিস্মিত করেছে তদন্তকারীদের। দু’টি ঘটনার মধ্যে মিল তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন।