নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একজন নির্যাতিতারও গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। তিনি সন্তানের জন্ম দেবেন কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তাঁর রয়েছে। এমন মানবিক রায় দিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি স্বর্ণ কান্তা সারনা। বিচারপতি বলেছেন, এক নির্যাতিতা সন্তানের জন্ম দিলে সে চিরকালের জন্য বয়ে নিয়ে যাবে সেই নির্মম অভিজ্ঞতার স্মৃতি। তাই, তিনি গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। একজন মহিলার যেমন গর্ভপাত বা গর্ভধারণের অধিকার রয়েছে, একজন নির্যাতিতাও সেই একই অধিকারে অধিকারী। তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।
বিচারপতি বলেন, শারীরিক নির্যাতনের পর এক মহিলা প্রতিদিন যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যায়, তা এক কথা অবর্ণনীয়। সেই নির্যাতনের ফলে তিনি গর্ভস্থ হয়ে পড়েন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সেই সন্তানের মুখ দেখলে মনে পড়তেই অতীত। তাছাড়া ভূমিষ্ট হওয়া সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই, তিনি চাইলে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের নেপথ্যে রয়েছে ১৪ বছরের এক নির্যাতিতার গর্ভপাতের আবেদন চেয়ে মামলা। নির্যাতিতা আদালতে আবেদনের সময় ২৫ সপ্তাহের গর্ভবতি ছিলেন। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর করতে গিয়ে আদালত জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে মেডিক্যাল প্রেগন্যান্সি আইনকে কোনওভাবেই গুরুত্ব দেওয়া যাচ্ছে না। এই মামলা দেখতে হবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গীতে। এই অধিকারকে শুধুমাত্র গর্ভপাতের অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এই অধিকার মহিলার মানবাধিকার।
আরও পড়ুন গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী গর্ভধারিনী: বম্বে হাইকোর্ট