নিজস্ব প্রতিনিধি: হাওড়ার পুরভোটের আগেই বড়সড় ধাক্কা বাম শিবিরে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার সিপিআই ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন হাওড়ার প্রথম মহিলা মেয়র মমতা জয়সোয়াল। শরৎ সদনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানেই লালঝাণ্ডা ছেড়ে ঘাসফুল হাতে নিচ্ছেন এক সময়ের দাপুটে নেত্রী।
রাজ্যে বাম জমানায় হাওড়ার রাজনীতিতে দাপুটে নেত্রী ছিলেন মমতা জয়সোয়াল। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গঙ্গার ওপারের শহরের মেয়রের দায়িত্ব সামলেছিলেন। দুবার মেয়র পারিষদের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি বরো চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সিপিআইএমের হাওড়া জেলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। যদিও রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে ২০১৩ সালে হাওড়ার পুর নির্বাচনে হার স্বীকার করতে হয় মমতা জয়সোয়ালকে। দীর্ঘদিন বাদে বামেদের হাতে থাকা হাওড়া পুরনিগমের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। মেয়র হন হাওড়ার তিনি পরাজিত হন। সে বছরই দীর্ঘদিনের বামেদের দখলে থাকা হাওড়া পুরনিগমের দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। মেয়রের দায়িত্ব পান রথীন চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর আমলে পুরনিগমে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অস্বচ্ছ ভাবমূর্তির কারণে দলীয় রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখান তিনি।
২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের পরে একদা শক্ত ঘাঁটি হাওড়ায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে বামেরা। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান হাওড়ার প্রথম মহিলা মেয়র মমতা জয়সোয়ালও। গত পাঁচ বছর দলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও ছিল না। ফের নতুন করে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরছেন। আচমকাই সিদ্ধান্ত বদল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে হাওড়ার প্রথম মহিলা মেয়র জানান, ‘পাঁচ বছর আগেই দল ছেড়ে দিয়েছিলাম। সিপিআইএমের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। বাংলার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্তরিক চেষ্টা চালাচ্ছেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়েই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’