নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরনিগমের ৮৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বিজেপির নাজেহাল দশা কাটার নাম নেই। ওই ওয়ার্ডে বিদায়ী কাউন্সিলর তথা পথ দুর্ঘটনায় নিহত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরব বিশ্বাসকে প্রার্থী না করোনো নিয়ে শুরু বিতর্কের। প্রার্থীপদ না পেয়েই গৌরব নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন। তাঁকে সমর্থন করে প্রকাশ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতিও। এবার ফের ফেসবুক পোস্টে খোলা চিঠি লিখেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাতে পরিস্কার জানিয়েছেন তিস্তার পাশে আজও আছেন তিনি। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।
বুধবার রাতেই ফেসবুকে একটি চিঠি শেয়ার করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তিস্তার স্বামী গৌরবের উদ্দেশ্যে লেখা ওই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার তো আর হোর্ডিং লাগানোর ক্ষমতা নেই। থাকলে তোদের দু’জনের ছবি টাঙিয়ে বলতাম, আমি তৃষার সঙ্গে আছি, থাকব। নগন্য কার্যকর্তা আমি। তাই এক একাই ৩০-৩৫ জন খুনী, ধর্ষকে গ্রেফতার করাতে পেরেছি পুলিশের সাহায্যে। শান্ত ভদ্র আন্দোলনের মাধ্যমে। তাই তো আমাকে তাড়াতে হয় রাজ্য থেকে’। পাশাপাশি তাঁর চিঠিতে উঠে এসেছে আরও একটি চ্যালেঞ্জ, যা কার্যত ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বকেই। রূপা লিখেছেন, কার্যকতা এমন একটি পদ, যা কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। দল আমাকে তাড়িয়ে দিতে পারে, সাসপেন্ড করতে পারে। কিন্তু দলত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে না। নির্দল প্রার্থী গৌরবকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিজেপি সাংসদ রূপার আর্জি, ‘আমি মা কালির কাছে প্রার্থনা করছি, এলাকার মানুষ যেন এগিয়ে এসে তোমাকে মানুষের সেবার সুযোগ করে দেন’।
ফেসবুকে এই চিঠি শেয়ার করে রূপা বড় বার্তা দিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, বিজেপি সাংসদ যে দলের কাজকর্মে মোটেই খুশি নন সেটা তিনি বার বার বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ফলে পরোক্ষেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে যেকোনও মুহূর্তে দল ছাড়তে পারেন। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কী ফের ভাঙন ধরতে চলেছে বঙ্গ বিজেপিতে! এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওয়াকিবহাল মহল।