নিজস্ব প্রতিনিধি: শহরের নাগরিক, খ্যাতনামা শিল্পী, সুরজিৎ চট্ট্যোপাধ্যায় (গায়ক ও রাজনৈতিক-সামাজিক ভাবে সচেতন), কী প্রত্যাশা থাকবে নতুন পুরবোর্ডের কাছে। শিয়রে কলকাতা পুরসভার ভোট। আগামী ১৯ ডিসেম্বর তিলোত্তমাবাসীর ভোটের নিরিখেই গঠিত হবে নতুন পুরবোর্ড। এতদিন ধরে শহরাবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করেছে প্রাক্তন পুরবোর্ড ও এলাকার কাউন্সিলর। ভোটে জিতলে কাউন্সিলারের কাছ থেকে কী কী কাজের প্রত্যাশা রয়েছে সুরজিতের। কোন কাজেই বা খামতি রয়েছে তার এলাকায় এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অর্ঘ্য নস্করকে সেই বিষয়ে জানালেন গায়ক সুরজিৎ।
সুরজিৎ চট্ট্যোপাধ্যায়: আমার ওয়ার্ডে বিগত পাঁচ বছরে উন্নতিই হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ড, লোকেশন রাজডাঙা। পুরসভার কাজে খুশি। বিশেষ করে আমার ফ্ল্যাটের নীচে রাস্তার দু-পাসে নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। যদিও সেগুলি এখন নেই। বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুরসভার ও কাউন্সিলরের কোন কোন কাজ ভালো লেগেছে…
১. দেড়বছর ধরে যে ড্রেন গুলো বানানো হয়েছিল, তা এখন বুজিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই জায়গায় চওড়া রাস্তা হয়েছে। দু’পাস বাঁধানো, রাস্তা ঘাট নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে আমার ওয়ার্ডে।
২. আলোতে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে পুরো পাড়া। রাতের বেলাও মনে হয় যেন সূর্য উঠে আছে। তাই আলো নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।
৩. আমাদের রাজডাঙাতে কোনও অশান্তি নেই। বড় বড় ক্লাব রয়েছে। তাদের নিয়েও কোনও অভিযোগ নেই। শান্তিতে বসবাস করি আমরা। অর্থাৎ বলাই যায় নিরাপত্তাটা আমাদের ওয়ার্ডে রয়েছে।
৪. আমফান তো বড় বিপর্যয় বলাই যায়। তবে তাও ভালো কাজ হয়েছে আমফান পরবর্তী সময়ে। যশে কিছু এফেক্ট হয়নি।
আর কী কী চান…….
১. নিকাশি নিয়ে কাজ হয়েছে। কিন্তু আরও কাজ হলে ভালো হয়। কারণ আমার বাড়ির সামনে বিশেষ করে নীচের দিকে মুষলধারার বৃষ্টিতে জল জমে যায়। সেটা আমার ফ্ল্যাটের নীচে গ্যারেজেও জল তুলে দেয়। তবে বেশিক্ষণ নয়। ঘণ্টা তিনেক কিংবা চারেক থাকে। তারপরেই নেমে যায় জলটা। এটা নিয়ে আশা করি কাজ হবে আগামীদিনে।
২. মশার একটা প্রাদুর্ভাব রয়েছে। তবে সেটা মারাত্মক নয়।