নিজস্ব প্রতিনিধি: সদ্য প্রকাশিত হয়েছে, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’- টিজার। যা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় তাণ্ডব শুরু হয়েছে। ছবিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, কেরালার ৩২০০০ মুসলিম মহিলার অন্ত্র-বিধ্বংসী গল্প। গল্প বলছে যাঁদের জোর করে ইসলাম ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। এই নিয়েই নেইদুনিয়া দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। এই ৩২০০০ নারী, যারা কুখ্যাত উগ্রপন্থী দল আইএসআইএস-এ যোগ দেওয়ার জন্য কথিতভাবে উগ্রপন্থী হিসেবে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করেছেন।
বিপুল অমৃতলাল শাহের তত্ত্বাবধানে এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুদীপ্ত সেন। ছবিটির প্রোডাকশন হাউসের ইউটিউব পেজে প্রথম ছবিটির টিজারটি শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে কেরালার নারীদের গল্প উন্মোচন করা হয়েছে। যাদেরকে রীতিমতো অপহরণ করে ‘আইএসআইএস এবং অন্যান্য ইসলামিক অঞ্চলে পাচার করা হয়েছিল এবং কঠোর প্রশিক্ষণ দিয়ে উগ্রপন্থীর হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। ছবিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কেরালার এই সকল উগ্রপন্থী নারীদের বেদনার পেছনের সত্যতা তুলে ধরা হবে।”
কাহিনীতে আরো চিত্রায়িত করা হয়েছে যে, কী ভাবে কেরালা থেকে তাঁদের পাচার করা হয়েছিল। যা কিনা ছিল সন্ত্রাসী দলের কথিত ষড়যন্ত্র৷ এই ছবিটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী আদা শর্মা। তিনি যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তিনি একজন নার্স হতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে আইএসআইএস সন্ত্রাসী হিসাবে আফগানিস্তানে জেলে পাঠানো হয়। সেই গল্পই ফুটে উঠবে আদার চরিত্রের মাধ্যমে।
আদা, চলচ্চিত্রে একজন শিকারের চরিত্রে অভিনয় করেছে। এবং তিনি যার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় এই গল্পের টিজার বলছে, 32000 নারীকের জোরপূর্বক ইসল্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। ছবিতে তাঁর নাম ফাতিমা। পরবর্তীতে তাঁকে আফগানিস্তানে বন্দী হওয়ার আগে আইএসআইএস-উগ্রপন্থী সংগঠনে পাঠানো হয়েছিল।
আদাহ শর্মা কমান্ডো 2-সহ একাধিক ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এদিন তিনি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পৃষ্ঠায় ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, “কেরালার ৩২০০০ জন মহিলার হৃদয় বিদারক এবং অন্ত্র-বিধ্বংসী গল্প!#কমিংসুন।” তবে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, “কেরালা ভারতের সেরা রাজ্যগুলির মধ্যে একটি৷ প্রায় ১০০ জন মৌলবাদ আইএসআইএস সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যোগদান করেছেন৷ কেরালা থেকে নিখোঁজ একটি চরম অতিরঞ্জন।” আবার কেউ বলেছেন, ‘কেরালার এই ইতিহাস সম্পর্কে সবার জানা উচিত’। খুব শীঘ্রই ছবিটির মুক্তির তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরল স্টোরি পরের বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।