নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি! বাঙালির খাবার পাতে আর থাকুক কি না থাকুক মাছ থাকবেই, সে ছোট হোক কি বড়। তবে মাছ যে শুধু বাঙালিরাই খান, তা কিন্তু একেবারেই নয়! অনেক জাতি এবং উপজাতি মাছ খেতে ভালবাসেন। মাছ খুব প্রোটিন ও পুষ্টিদায়ক একটি খাবার। ভাজা বা ঝোল যেকোনও ভাবেই মাছ খাওয়া যায় অথবা পুড়িয়ে বার্বি কিউ স্টাইলেও মাছ খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। যদিও কিছু মাস আগে মাছকে কেন্দ্র করে গুজরাতে একটি সভায় অভিনেতা পরেশ রাওয়াল একটি বিস্ফোরক মন্তব্যে বলেছিলেন, “গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়লে তা আবার কমেও যাবে। মুদ্রাস্ফীতিও কমে যাবে। মানুষজন চাকরি পাবেন। কিন্তু, দিল্লির মতো রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিরা যদি বাড়ির পাশে থাকা শুরু করে সেক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কী হবে? বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন।” বাঙালীদের নিয়ে এমন অপমান ঘিরে কার্যত আলোড়ন তৈরি হয়ে গিয়েছিল সেই সময়। যা গড়িয়েছিল আইন পর্যন্তও। এবার মাছ নিয়ে আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী ডক্টর বিজয়কুমার গাভিত।
তাঁর মতে, যে সকল নারী-পুরুষ মাছ খান, তাঁদের শরীরে চর্বি জন্মায় এবং চেহারায় ঔজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধি পায়। এটাই শেষ নয়, সম্প্রতি ওই ইভেন্টে মন্ত্রীর বলা আরও কয়েকটি বক্তব্য এখন লাইমলাইটে। মাছ খাওয়ার সঙ্গে অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের চোখের তুলনা করে তিনি বলেন, মাছ খেলে সকল মেয়েদের চোখ বিখ্যাত অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের মতো হবে। চোখ ও ত্বক উভয় সুন্দর হবে। প্রকৃতপক্ষে, ধুলে জেলার আঁতুর্লিতে উপজাতীয় জেলেদের মাছ ধরার সামগ্রী বিতরণের জন্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই উপস্থিত জেলেদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী ডাঃ বিজয় কুমার গাভিত।
মন্ত্রী আরও বলেন, “ঐশ্বর্য রাইয়ের চোখ দেখেছেন? অভিনেত্রীর চোখ ম্যাঙ্গালুরুর সমুদ্র সৈকতের মতো সুন্দর এবং উজ্জ্বল। কারণ তিনি প্রতিদিন মাছ খান। মাছ খেলে নারী ও পুরুষ উভয়ের ত্বক মসৃণ দেখতে হবে। আসলে মাছে এক ধরনের তেল থাকে। যা শরীরের ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।” এদিন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ড. হিনা গাভিত, জেলা পরিষদ সদস্য অরুণ ঠাকরে, গুলাব ঠাকরে, কিশোর নায়েক, গুলাল ভীল, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রেখা ঠাকরে, প্রবীণ শিরসাথ, দশরথ ঠাকরে, সদাশিব মিস্ত্রী, বিঠল মোড়ে, অশোক মোরে, ভোজু মোরে, দিলওয়ার মালচে, সাগর ভিল, দশরথ ভিল এবং শাহাদা তালুকের জেলে ভাইরা উপস্থিত ছিলেন।