নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে একটু ভেতরে ঢুকলেই প্রকাশ্যে আসবে তারকাদের জীবনের একাধিক বিস্ফোরক তথ্য। যার মধ্যে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনই সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আসে। বিশেষ করে, বলিউডে কান পাতলেই বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের পরিবারে একাধিক গল্প প্রকাশ্যে আসবে। যেখানে রয়েছে খোদ অমিতাভ-রেখা র অসম্পূর্ণ প্রেম কাহিনী। এছাড়া পুত্র অভিষেক বচ্চনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একাধিক চর্চা। শোনা যায়, নীল নয়না সুন্দরী ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সঙ্গে অভিষেকের বিয়ে হওয়ার আগে অভিষেকের অভিনেত্রী রানী মুখোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী করিশ্মা কাপুরের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষমেষ তা হয়ে ওঠেনি।
২০০০ সালের দশকের গোড়ার দিকে, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শোনা গিয়েছিল যে, অভিষেক বচ্চন এবং করিশ্মা কাপুর বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত, তাঁদের বিয়েটা হয়নি এবং তাঁরা সম্পর্ক থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর দুজনেই অন্য মানুষকে বিয়ে করেন। শোনা যায়, তাঁদের একসঙ্গে জুটি বেঁধে করা প্রথম চলচ্চিত্র ‘হ্যান ম্যায় ভি পেয়ার কিয়া’ ছবিতে বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছিল। সম্প্রতি, এই চলচ্চিত্রের নির্মাতা সুনীল দর্শন, সেই ছবির স্মৃতি টেনে বলেন যে, তিনি সর্বদা বিশ্বাস করতেন যে তাঁরা এমন নয়। ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমারও। তবে মুক্তির পর ছবিটি বক্স অফিসে তেমন সফলতা পায়নি।
এমনকী এও শোনা যায়, ছবিটি মুক্তির পরপরই অভিষেক ও করিশ্মা আলাদা হয়ে যান। তবে এই বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যেই ধারণা ছিল, অভিষেক-করিশ্মার সম্পর্ক নিছকই গুজব। তবে বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, সুনীলকে তাঁদের সম্পর্কের ‘গুজব’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, “কোন গুজব ছিল না। অভিষেক-করিশ্মা দম্পতি ছিল এবং তাঁদের বাগদানে আমি অংশ নিয়েছিলাম। তাঁদের কাছে হ্যান ম্যায় ভি পেয়ার কিয়া একটি বিশেষ সিনেমা ছিল। কারণ এটিই একমাত্র সিনেমা যেখানে অভিষেক এবং করিশ্মা কাপুর একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। তবে এর আগে তাঁরা আগে বা পরে একসঙ্গে কাজ করেনি। তবে ছবির শুটিংয়ের সময়েই আমি অনুভব করেছিলাম যে তাঁরা একে অপরের জন্য নয়। অনবরত ঝগড়া হত তাঁদের। তবে অভিষেক একজন মিষ্টি বন্ধু। লোলো (কারিশমার ডাকনাম) খুব ভালো মানুষ। তবে কিছু জিনিস হয়তো ভাগ্যের জোরে সম্পূর্ণ হয় না।”