এই মুহূর্তে




‘ডিভোর্সের মামলা আগে পিটার করেছেন’, আদালতে বিস্ফোরক দাবি স্বামীর হাতে নির্যাতিত সেলিনার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি মুম্বইয়ের একটি আদালতে তাঁর স্বামী পিটার হ্যাগের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ দায়ের করেছেন। যেখানে তিনি বছরের পর বছর ধরে মানসিক, শারীরিক, যৌন এবং মৌখিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার(২৫ নভেম্বর) বিচারক ম্যাজিস্ট্রেট এস সি তাডয়ের সামনে এই আবেদনের শুনানি হয়েছে। এবং আদালত পিটারকে আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ জারি করেছেন এবং পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আদালতে করঞ্জওয়ালা অ্যান্ড কোং-এর প্রতিনিধিত্বকারী প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া সেলিনা জেটলি ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ১০ লক্ষ টাকা মাসিক ভরণপোষণ দাবি করেছেন। তবে আদালতের নথিপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, সেলিনা নয়, বরং তাঁর স্বামী পিটার হ্যাগই প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। তিনি গত অগস্টে অস্ট্রিয়ার একটি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেলিনার আবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, সেই মামলা চলাকালীন তাঁকে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল।

তিনি মামলায় খরচ চালানোর জন্যে সাবলীল ছিলেন না এবং আইনি পরামর্শের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। যার ফলে তিনি বিদেশী আইনি ব্যবস্থায় অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। অভিনেত্রীর আইনি দল নিশ্চিত করেছে যে, পিটারের শুরু করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলা বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় চলছে, পাশাপাশি ভারতেও তাঁর বিরুদ্ধে সেলিনা পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ৪৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী অনেক কষ্টে অস্ট্রিয়া থেকে পালিয়ে ভারতে আসেন। কারণ তিনি বছরের পর বছর ধরে স্বামীর দ্বারা মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ভারতে এসে অভিনেত্রী তাঁর তিন সন্তানকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। যারা বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় তাদের বাবা পিটারের সঙ্গে বসবাস করছে। কিন্তু অভিযোগ, আইনি বিরোধ শুরু হওয়ার পর পিটার তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে সেলিনার যোগাযোগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে, কেবল আদালতের নির্দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলেন।

বর্তমানে, অস্ট্রিয়ার আদালত সেলাকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে টেলিফোনে সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে। সেলিনার বিরক্তিকর দাবিগুলির মধ্যে একটি, তাঁর দ্বিতীয় যমজ সন্তান প্রসবের পরেই নাকি তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে ছিলেন পিটার। তখনও তার সেলাই সেরে ওঠেনি। হাঁটতেও পারছিলেন না তিনি। পিটার একজন নার্সিসিস্টিক, আত্মমগ্ন ব্যক্তি” এবং “ক্ষুব্ধ মেজাজ এবং মদ্যপ প্রবণতা” ব্যক্তি ছিলেন। দিনের পর দিন সেলিনা স্বামীর দ্বারা শারীরিক নির্যাতন সহ্য করে ছিলেন সেলিনা। তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর তার স্বামী তাকে কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন, যার ফলে তিনি পেশাগত সুযোগ এবং দৃশ্যমানতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। সেলিনা এবং পিটার ২০১০ সালে মুম্বইতে বিয়ে করেন, পরে অস্ট্রিয়ায় তাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন। তারা বছরের পর বছর ধরে মুম্বই, দুবাই, সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রিয়া জুড়ে বসবাস করেছেন। ২০১২ সালে তারা যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন এবং ২০১৭ সালে আরও একটি যমজ সন্তানের জন্ম দেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদের মধ্যে একজন জন্মের পরপরই জন্মগত হৃদরোগের কারণে মর্মান্তিকভাবে মারা যান। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ ডিসেম্বর হবে, যখন পিটার মুম্বই আদালতে অভিযোগের জবাব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাবার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন স্মৃতি মান্ধনার বাগদত্তা পলাশ মুচ্ছল

‘আমি ওঁর সংসার ভাঙিনি, সন্তানদের সঙ্গেও বিরোধ নেই’, কুমার শানুর সঙ্গে প্রেম নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কুণিকা

প্রয়াত কিংবদন্তি কোরিয়ান অভিনেতা লি সুন জে

‘এভাবে টানবেন না’, মাদক মামলায় জেরা দিতে এসে ANC অফিসারের উপর ক্ষুব্ধ ওরি

বিয়ে বাতিল ও প্রতারণা কাণ্ডের জের! বিশ্বজয়ী দলের সঙ্গে KBC-তে আসছেন না স্মৃতি মান্ধানা

মুম্বই ক্রাইম দফতরে ২৫২ কোটি টাকার মাদক মামলায় শ্রদ্ধা কাপুরের দাদাকে ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ