নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউড ছবিতে যেহেতু পত্তা হয় বেশি, তাই দেশের বেশিরভাগ হলগুলির সবার আগে প্রাইওরিটি থাকে হিন্দি ছবিগুলির জন্যে বেশি স্ক্রিন রাখার। এমনকী এই রীতিতে বিশ্বাসী কলকাতার হলগুলিও। তাই হিন্দি সিনেমার দাপটে হল হারাতে হয় বাংলা সিনেমাগুলির। এই ঘটনা নতুন নয়! বহুদিন ধরেই ঘটে যাচ্ছে। আগামিকাল ঈদ, ঈদ উপলক্ষ্যে মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের একাধিক ছবি। পিছিয়ে নেই বাংলা ও। এদিকে ১১ এপ্রিল মুক্তি পাচ্ছে অঙ্কুশ হাজরার প্রথম প্রযোজিত ছবি ‘মির্জা’। যেখানে তিনি আর ঐন্দ্রিলা সেন জুটি বাঁধছেন। কিন্তু মুক্তির আগেই বিপাকে ছবির নির্মাতারা। কারণ কোনও হলই পাচ্ছে না এই ছবি। কারণ ঈদের বক্সঅফিসে মুক্তি পাচ্ছে অজয় দেবগনের ‘ময়দান’ এবং অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফের ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’, তাই হল পেতে হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলার ‘মির্জা’।
ছবি ১০ তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারতে ঈদ উদযাপন হবে ১১ এপ্রিল। তাই এদিনই ছবি মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন অঙ্কুশ। কিন্তু মুশকিল বিষয়, বাংলার কোনও হল পাচ্ছে না মির্জা। এদিকে অভিনেতা জানাচ্ছেন অন্য কথা, “‘মির্জা’ বর্তমান সময়ে সবথেকে বড় রিলিজ ছবি। ১২৯ থেকে ১৪০টি থিয়েটার পেতে চলেছে মির্জা। যাঁরা বলছে যে, ‘মির্জা’ কেন শো পাচ্ছে না। একেবারেই ভুল কথা। যাঁরা বাংলা ছবির পাশে আছেন, বাংলা ছবির ভালো চাইছেন, তাদের অনেক ধন্যবাদ। ডিস্ট্রিবিউটর লেভেল থেকে এগজিবিটর, কেউ মির্জার সঙ্গে কোনও অন্যায় করছেন না।” আসলে বাংলাতে যেভাবে বাণিজ্যিকভাবে হিন্দি ছবি রাজত্ব করছে, তাতে অবশ্যই বাংলা সিনেমার বক্স অফিসে ভাটা পড়ছে। তাই বাংলা সিনেমা শো পেতে একটু স্ট্রাগল করছে।
কিন্তু এতে কারও কোনও দোষ নেই। কিন্তু নতুন প্রযোজক হওয়া সত্ত্বেও যে ভরসা ডিস্ট্রিবিউশন দিচ্ছেন, তাতে কৃতজ্ঞ অঙ্কুশ। কারণ ১৪০টি হল পাওয়া মুখের কথা নয়। এরপর অঙ্কুশ বলেন, “এই প্রতিবাদটা করা খুব সহজ। সোশাল মিডিয়ায় কোনও হল্লা নয়। পরিবারকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে ‘মির্জা’ দেখুন। বাংলা ছবি দেখো, যত বাংলা ছবি দেখবে, ততই বাংলা ছবি পশ্চিমবঙ্গে রাজত্ব করতে পারবে।”