নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের কিংবদন্তি জুটি মধুবালা (Madhubala) এবং দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) রসায়ন চিরকালই আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই জুটির অভিনীত মুঘল-ই-আজম, সেই যুগের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র ছিল। তবে সিনেমার মতো, তাঁদের বাস্তব জীবনের প্রেমের গল্পেরও একটি করুণ পরিণতি হয়েছিল, যখন তাঁরা একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই প্রসঙ্গে, মধুবালার বোন মধুর ভূষণ একবার বলেছিলেন যে, এই দুই সুপারস্টার বিয়ের জন্যে খুব কাছাকাছি এলেও একটি ক্ষমা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শোনা যায়, অভিনেতা দিলীপ কুমার, একবার মধুবালা এবং তাঁর বাবা আতাউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে গিয়ে একটি মামলার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। কারণ ছিল একটি ছবি, যার নাম, নয়া দৌর।
এই ছবির শ্যুটিংয়ের জন্যে মধুবালাকে পরিচালক শহরের বাইরে যেতে বলেছিল, কিন্তু সেই সময়ে মধুবালার বাবা অভিনেত্রীকে শহরের বাইরে যেতে দেননি। এর ফলে, নয়া দৌর পরিচালক বিআর চোপড়া, পরে মধুবালা ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে ৩০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছিলেন। আর সেই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন দিলীপ কুমার। এর জন্যেই দিলীপ কুমার ও মধুবালার বিচ্ছেদ ঘটে যায়।
তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে মধুবালার বোন মধুর বলেন, “কোর্টের মামলা যদি না হত, তাহলে খুব সম্ভবত মধুবালা দিলীপ কুমারকে বিয়ে করতেন। তিনি দিলীপ সাহেবকে আমাদের বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, বিগত ঘটনাগুলিকে ভুলে যেতে, যাতে তাঁদের সম্পর্ক পরিপূর্ণতা পায়। কিন্তু দিলীপ সাহেব এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকী মধুবালা কেঁদেকেটে দিলীপ সাহেবকে বলেছিলেন যে, ‘দেখো এরকম করো না, আমাদের জীবন ভেঙে যাবে’! তখন দিলীপ সাব তাঁকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে এত জোর করছো কেন?” এই ভাবেই তাঁদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। মধুবালা পরে কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন। আর বিয়ের নয় বছর পর তিনি মারা যান। দিলীপ কুমার অভিনেতা সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এবং দুজনেই বলিউডের সবচেয়ে সুন্দর দম্পতি হয়ে ওঠেন। দিলীপ কুমার গত বছর মারা যান এবং সায়রা বানু এখনো বেঁচে আছেন।