নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা বলাই চলে বিদ্যা বালনকে। চেহারায় ভারী হলেও, তাঁর অভিনয় পর্দায় রীতিমত যাদুর সৃষ্টি করে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি ন্যাশনাল পুরষ্কারে সম্মানিত হয়ে গিয়েছেন এই নায়িকা। এছাড়াও দ্য ডার্টি পিকচারে অভিনয়ের জন্য বিদ্যা (Vidya Balan) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন এবং তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন। তবে ভারী ফিগারের কারণে তাঁকে কম অপমানিতও হতে হয়নি। কিন্তু নায়িকা কখনই হেরে গিয়ে পিছু মোড় নেননি। সেই কারণেই এখন তিনি বলিউডের একজন মোস্ট সফলতম অভিনেত্রী। যাই হোক, আজকে তিনি আমাদের প্রতিবেদনের রানী হওয়ার কারণ তো একটা আছেই!
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে, বিদ্যা বালন কেরিয়ারের প্রথম দিনগুলিকে স্মরণ করে কয়েকটি বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেছেন, “প্রথম দিকে, আমাকে মনে করা হত, আমার ছবি খুব একটা প্রচলিত ছবি করি না, আমি বিশেষত অন্য ধাঁচের সিনেমা করা পছন্দ করি, এমনকি আমার ছবির প্রতিটি প্রচারমূলক সাক্ষাৎকারেও, আমাকে জিজ্ঞাসা করা হত, ‘ওহ, আপনি তো ‘গতে বাঁধা’ সিনেমা করেন নয়?’ এই কারণে আমি নিজেই ভেবেছিলাম যে, লোকে কেন এরকম বলছেন, হয়তো আমার ছবি করার জন্যে পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন। এমনকি প্রথম ছবির পর আমার বেশ কয়েকটি ছবি তেমন সফল হয়নি। যদিও আমি কারুর কথায় মনোযোগ দিই নি, ঠিক তখনই আমি ভেবেছিলাম যে আমার সিদ্ধান্তগুলি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “আসলে পরে বুঝলাম, হয়তো ‘গতে বাঁধা’ ছবি না করার কারণেই আমি সফলতার মুখ দেখছি না। কিন্তু আমাকে যে সমস্ত ‘গতে বাঁধা’ চলচ্চিত্র প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটির মধ্যে বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই মহিলাকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র ছিল না। আর সেগুলিই বিগেস্ট ফ্লপ হয়েছিল বক্সঅফিসে। আমার মোট সাতটি ছবি সুপারহিট হয়নি। আর তার মধ্যে দুটি ছবি ছিল নায়কের সঙ্গে। সেই কারণেই ওই ছবিগুলি বিগেস্ট ফ্লপ হয়েছিল।” বিদ্যাকে শেষবার শেফালি শাহের সঙ্গে ‘জলসা’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল, যেটি প্রযোজক সংস্থা ছিল টি-সিরিজ এবং অ্যাবুন্ডেন্টিয়া এন্টারটেইনমেন্ট। উল্লেখ্য, বিদ্যা পরিণীতা (২০০৫) ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে, লাগে রাহো মুন্না ভাই এবং গুরু (২০০৬), হে বেবি এবং ভুল ভুলাইয়া (২০০৭), কিসমত কানেকশন (২০০৮)। এছাড়াও তিনি ইশকিয়া এবং নো ওয়ান কিলড জেসিকা (২০১০), দ্য ডার্টি পিকচার (২০১১), কাহানি (২০১২), কাহানি 2 (২০১৬), বেগম জান এবং তুমহারি সুলু (২০১৭), মিশন মঙ্গল (২০১৯), শকুন্তলা দেবী (২০১৯) ছবিতে অভিনয় করেছেন।