এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘জিয়ার মা আমাকে দোষ দিয়ে নিজে বাঁচতে চেয়েছেন’, বিস্ফোরক সূরজ পাঞ্চোলি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৮ এপ্রিল জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। প্রায় ১০ বছর তিনি এই মামলার ভুক্তভোগী ছিলেন। ২০১৩ সালে জিয়া খানের আচমকার মৃত্যুর কারণে সবার প্রথমে আঙুল উঠেছিল আদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজের উপর, কারণ অভিনেত্রীর প্রেমিক ছিলেন সূরজ। জিয়া খানের মৃত্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ আনেন অভিনেত্রীর মা। জুহুতে নিজের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হন অভিনেত্রী। প্রায় ১০ বছর এই মামলা চলছিল, সূরজকে ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে সাইন করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অভিনেত্রীর মা নাছোড়বান্দা, তাঁর দাবি, মেয়েকে খুন করা হয়েছে। সূরজ ও তাঁর পরিবারের অকথ্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার জিয়া। অবশেষে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা মামলাটি সিবিআই হাতে নেয়।

অবশেষে ২৮ এপ্রিল ২০২৩ সালে জিয়া খানের আত্মহত্যা মামলায় সুরাজ পাঞ্চোলিকে নির্দোষ ঘোষণা করে সিবিআই। তবে এই ১০ বছর তাঁর জীবন কীভাবে কেটেছে, সেই সম্পর্কে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সূরজ। যেখানে তিনি জিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক, রাবিয়া খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং কীভাবে তাঁকে হয়রানি করা হয়েছে, চলচ্চিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সে সব সম্পর্কে মুখ খুলেছেন। সূরজ এই মুহূর্তে টক অফ দ্য টাউন। সংবাদের কাছে অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি এখনও ভাবতে পারছেন না যে, তাঁকে আর আদালতে যেতে হবে না। সব শেষ হয়েছে। তিনি এখনও হজম করতে পারছেন না।

জিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে সূরজ বলেন যে, তিনি জিয়াকে প্রথম ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠিয়েছিলেন। প্রায় এক বছর পর জিয়ার সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। মাত্র পাঁচ মাস তাঁদের সম্পর্কে ছিল। তবে জিয়া খান যে, কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। জিয়া কেবল তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে নয়, তাঁর পরিবারের থেকেও ভালবাসা দরকার ছিল। জিয়া তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। তিনি তাঁর মা, রাবিয়া খান, তাঁর সঙ্গী এবং তার দুই সৎ বোনের দেখাশোনা করতেন।

একবার অভিনেত্রী তাঁর জীবন শেষ করার জন্য হাতও কেটেছিলেন। এরপর তিনি লন্ডনে তাঁর মা রাবিয়া খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাবিয়া সুরজকে বলে যে, মুম্বইয়ে তাঁর জন্যে একটা ফ্লাইটের টিকিকের ব্যবস্থা করেন। জিয়া একজন দুর্দান্ত ব্যক্তি ছিলেন, সে তাঁর পরিবার থেকে যথেষ্ট ভালবাসা পায়নি। তাঁর মতে সুইসাইড নোটটি জিয়া লিখেননি। জিয়ার মা শুধু তার কাঁধ থেকে দোষটা সরিয়ে অন্য কারো উপর চাপাতে চেয়েছিলেন। জিয়া ১৬ বছর বয়স থেকে তাঁর পরিবারকে সমর্থন করে আসছিল। সূরজ জিজ্ঞেস করে যে কাউকে ভালোবাসা কি অপরাধ? এই মামলার কারণে তিনি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। জিয়ার মৃত্যুর দুই বছর পর বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। কিন্তু তাঁকে স্বীকার করা দর্শকদের দিক থেকে একটি দ্বিধা ছিল এবং তাঁকে অনেক প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি যে প্রকল্পে কাজ করছিলেন তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।  তবে তিনি অনেক সৌভাগ্যবান যে, মামলা থেকে মুক্তির পর সলমন খান তাঁকে প্রথম ম্যাসেজ করেন।এদিকে, রাবিয়া শেয়ার করেছেন যে তিনি সিবিআইয়ের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভোটের পরেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে যাবেন রচনা

মুরলিকান্ত পেটকারের বায়োপিক এবার পর্দায়, ফুটিয়ে তুলবেন কার্তিক আরিয়ান

ভারতীয় ক্রিকেট রানির সঙ্গে অনুষ্কা, RCB-CSK ম্যাচ শুরুর আগে কী কথা হল তাঁদের?

১২ বছর বয়সে মিডিয়ার দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন জাহ্নবী

বাংলা ছবির জয়জয়কার! কানে প্রিমিয়ার হল মুমতাজের ‘পুতুল’

পঞ্চম দফার ভোটের জন্যে মুম্বইতে সমস্ত শুটিং স্থগিত, নির্দেশ AICWA-এর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর