নিজস্ব প্রতিনিধি: সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ‘ডিপফেক’ ভিডিওর ছড়াছড়ি। যা নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত নেট মহলও। সহ কর্মীদের এক একটা ডিপফেক ছবি-ভিডিও চিন্তায় ফেলে দিচ্ছে তারকাদেরও।ডিপফেক ভিডিও, কথাটির আসল অর্থ, একটি ছবিতে দুজনের চেহারা। অর্থাৎ শরীর একজনের কিন্তু মুখ অন্যের। যেমন, গত সপ্তাহেই অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দান্নার একটি ডিপফেক ভিডিও নিয়ে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছিল, একজন ইন্দো-আমেরিকান মহিলার মুখের উপর আধুনিক প্রযুক্তির দ্বারা রশ্মিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা কিনা সম্পূর্ণ বেআইনি। অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে বিজয় দেবেরাকোন্ডা, ম্রুণাল ঠাকুর সবাই প্রতিবাদ জানান। পুলিশ দিন দুয়েক আগেই এই ঘটনার তদন্তে বিহার থেকে একজন ১৯ বছরের সন্দেহভাজনকে আটক করে। রশ্মিকার পর ক্যাটরিনারও ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার অভিনেত্রী কাজলের ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম জুড়ে। আসল ক্লিপটিতে প্রভাবক রোজি ব্রীনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যিনি ‘গেট রেডি উইথ মি’ ট্রেন্ডের অংশ হিসাবে টিকটকে ক্লিপটি ভাগ করে নিয়েছিলেন।
ডিপফেকে ব্রীনের শরীর রেখে মুখের জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে কাজলের মুখ। ক্লিপটিতে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ অভিনেত্রীকে ক্যামেরার সাভনে পোশাক বদলাতেও দেখা গেছে। ফ্যাক্ট-চেকিং প্ল্যাটফর্ম বুম অনুসারে, আসল ভিডিওটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবকের, এবং কাজলের মুখ ভিডিওটিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সেলিব্রিটিদের ম্যানিপুলেশন ভিডিও কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়ার পরে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বলেছেন যে, ডিপফেকগুলি ভারতের সিস্টেমের মুখোমুখি সবচেয়ে বড় হুমকিগুলির মধ্যে একটি, যোগ করে যে এটি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি মিডিয়াকে ডিপফেক সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন। এর জন্যে নাগরিক এবং মিডিয়াকে খুব সতর্ক হওয়া দরকার।