নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শারদীয়ার অর্থ এক একটা বয়সে এক এক রকম। কাজের চাপে হারিয়ে যায় পুজোর উন্মাদনা। নতুন জামার গন্ধ, নতুন জুতোয় ফোস্কা পড়া পা, আইসক্রিম, অষ্টমীর অঞ্জলি, মায়ের পাটভাঙা শাড়ি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই ফিকে হয়ে আসে।
কর্পোরেট সেক্টরের কাজের চাপে আর সেভাবে হয়ে ওঠে না বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর আড্ডা। কিন্তু ছেলেবেলা যতই হারাক মনের আনন্দকেই সঙ্গে নিয়ে কেটে যায় একটা পুজো চলে আবার আগামী বছরের পুজোর প্ল্যান। এই তালিকায় রয়েছেন টালিগঞ্জের তারকাসহ নানা ক্ষেত্রের গুণীজনেরা। এই মুহূর্তের প্রতিনিধি অরণী ভট্টাচার্যের সঙ্গে পুজোর দিন গুলো কাটানোর পরিকল্পনা ভাগ করে নিলেন সঙ্গীতশিল্পী মনোময় ভট্টাচার্য।
পুজোর কি প্ল্যান জানতে চাইলে শিল্পী জানান, গত ১৭-১৮ বছর ধরে কলকাতায় থাকা হয়না পুজোতে। বাইরে কনসার্ট থাকে ঐ সময়। টাই কলকাতার পুজোতে এমনিতেই থাকা হয়না। এবছরের পুজোয় রিক্রিয়েশনের ভাবনাকে সঙ্গী করে পাহাড় সফরে যাবেন তিনি। কিন্তু এমন সিদ্ধান্ত কেন? জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, পুজোয় বাড়িতে বসে বোর হওয়ার থেকে পাহাড়ে যাওয়া ভালো।
বোঝাই যাচ্ছে এমনিতেই করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছু বন্ধ। মনে পাথর রেখে এবছরের পুজোও কাটাতে হবে ভিড় এড়িয়ে । কাজেই বোঝা যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি সব ক্ষেত্রেই বদল এনেছে। পাহাড়ে গিয়ে একান্তে কি গান নিয়ে গুনগুন হবে? জানতে চাওয়া হলে মনোময় জানান, না গান থাকবে না। তবে রিক্রিয়েশনের ভাবনা থাকছেই।