এই মুহূর্তে




১৬ জানুয়ারির হামলা নিয়ে পুলিশকে বয়ান দিলেন সইফ আলি খান




নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৬ জানুয়ারির হামলা নিয়ে পুলিশকে বয়ান দিলেন সইফ আলি খান। গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বান্দ্রা পুলিশ ঘটনা সম্পর্কে সইফ আলি খানের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন। ঘটনাটি স্মরণ করে, অভিনেতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৬ জানুয়ারি রাতে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী করিনা কাপুর খান বান্দ্রার ‘সদগুরু শরণ’ বিল্ডিংয়ের ১১ তলায় শোবার ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তখন তাঁরা দুজনেই তাঁদের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের (জেহ) নার্সের চিৎকার শুনতে পান। চিৎকার শুনে তিনি এবং করিনা জেগে ওঠেন। তৎক্ষণাৎ ছেলের ঘরে ছুটে যান। এবং সেখানে গিয়ে তাঁরা অভিযুক্ত হামলাকারীকে দেখতে পান। জেহর নার্স ইলিয়ামা ফিলিপস ভয় পেয়ে চিৎকার করছিল এবং জেহ কান্নাকাটি জুড়ে দিয়েছিল।

এরপর সইফ আলি খান অভিযুক্তকে থামানোর চেষ্টা করলে, তিনি অভিনেতার পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন। আহত হওয়া সত্ত্বেও, অভিনেতা অনুপ্রবেশকারীকে ঘরের ভিতরে ঠেলে দিয়েছিলেন। এবং ফিলিপস জেহকে নিয়ে ঘরের বাইরে পালিয়ে গিয়ে অভিযুক্তকে তালানবন্দির চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্ত সকলকে ঠেলে সইফ আলি খানের উপর হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালায়। অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ স্ত্রী করিনা, তাদের দুই ছেলে জেহ এবং তৈমুর সকলেই বাড়িতে ছিলেন। আক্রমণকারী চুরির জন্য এই তাঁদের ১২ তলার ভবনে প্রবেশ করেছিলেন। হামলাকারি ১ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। এরপর অভিনেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনার রাতেই লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার হাত ও ঘাড়ে স্পাইনাল ফ্লুইড এবং প্লাস্টিক সার্জারি ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়।  অভিনেতা গুরুতর জখম হয়েছিলেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। একটু সুস্থ হতেই অভিনেতাকে ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর জখম এখনও শোকায় নি। তাই তাঁকে অন্তত এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে।

এদিকে সইফের বাড়িতে হামলার ঘটনার পরেই পুলিশ তদন্তে নামে। এবং ৭০ ঘন্টা অভিযানের পর গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সইফের হামলাকারি শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে থানে থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত হামলার বিষয়ে সবটা শিকার করেছেন। জানা গিয়েছে, শরিফুল বাংলাদেশের বরিশালের বাসিন্দা। ৭ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেছিল এরপর চাকরির জন্যে মুম্বইতে চলে আসেন। সেখানে বিজয় দাস নামে থাকতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই তাঁর আইডি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও মুম্বই পুলিশ অভিনেতার বাসভবনে, বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে, টয়লেটের দরজা এবং তার ছেলে জেহের ঘরের দরজার হাতল থেকে অভিযুক্তের বেশ কয়েকটি আঙ্গুলের ছাপ পেয়েছে। এদিকে শরিফুলের বাবা হলেন বিএনপি নেতা, তিনি তার ছেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সিসিটিভিতে যাকে দেখা গিয়েছ সে আমার ছেলে নয়। আমার ছেলের চুল লম্বা নয়। আমি বিশ্বাস করি আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মা স্মিতা পাতিলের বাড়িতেই বাঙালি প্রেমিকার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন প্রতীক বব্বর

জীবনে প্রথমবার বিমানে চড়ে কেমন অভিজ্ঞতা ভাইরাল গার্ল মোনালিসার?

২৬ বছরের ছোট তরুণীকে নিয়ে দ্বিতীয়বার ছাদনাতলায় ‘স্টাইল’ অভিনেতা সাহিল খান

‘পাগলের মতো ভালবাসি’, ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে জ্যাকলিনকে ‘গল্ফস্ট্রিম জেট’ উপহার সুকেশের

গ্র্যামিতে নগ্ন হয়ে হাঁটতে বাধ্য করেছিলেন স্বামী, বদলা নিতে এবার ডিভোর্স নিচ্ছেন বিয়াঙ্কা

প্রেম দিবসে শ্রোতাদের ‘চুপিচুপি তোমাকে দেখি’ উপহার মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর