নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: অভিনয়ে দুই বাংলাকেই সমৃদ্ধ করেছেন ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার ফেরদৌস আহমেদ। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল বাংলা থেকেই। টলিউডে একাধারে প্রচুর সিনেমা করেছেন তিনি। আর সবটাই টলিউডের প্রথম সারির সঙ্গে জুটি বেঁধে। তবে এখন তিনি পাকাপাকিভাবে ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতেই মনোনিবেশ করেছেন। যদিও এখন তাঁর কেরিয়ার প্রসারিত হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের হয়ে বাংলাদেশের আগামী সাংসদ নির্বাচনে লড়বেন নায়ক।
ইতিমধ্যেই তার প্রচার শুরু করেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়েও আলাদা করে কিছু বলার নেই! তিনি ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করেছেন সম্পত্তির হলফনামা। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ। অনেক প্লট-ফ্ল্যাটের মালিক তিনি, নিজে ২০ লাখ টাকা দামের গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়ালেও স্ত্রী চড়েন ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার গাড়িতে। হলফনামায় ফেরদৌস উল্লেখ করেছেন, তিনি যে গাড়িতে চড়েন, তাঁর দাম ২০ লাখ টাকা। আর তার স্ত্রীর গাড়ির দাম ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা। ফেরদৌস তাঁর ভবনের পাঁচতলায় দুটি ফ্ল্যাটের মালিক। যার দাম ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে তার আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে (নম্বর ১০১)। তবে এটির কোনো দাম উল্লেখ করেননি তিনি। এছাড়াও পূর্বাচলের ৭ নম্বর সেক্টরে ৩০১ নম্বর রোডে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লটেরও মালিক তিনি। এছাড়াও ঢাকার ধামালকোর্টে আছে কার পার্কিংসহ দুটি ফ্ল্যাট, যা তাঁর মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। মিরপুরের বাউনিয়ায় সাড়ে ১৬ শতাংশের একটি প্লট রয়েছে। সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা আয়তনের আরও দুটি প্লট রয়েছে তার। এছাড়াও তাঁর স্ত্রীর আছে ৪০ ভরি সোনার গহনা। তার নিজের স্বর্ণালংকার ২০ ভরি। এছাড়াও তাঁর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে, রোলেক্স ঘড়ি আছে। নূজহাত ফিল্মস নামে চলচ্চিত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ১৫ লাখ টাকার। এ ছাড়া দুটি ব্যাংকে আছে মোট ৩২ লাখ টাকা।
