আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্যান্সারে আক্রান্ত ১২ বছরের মেয়ে। আর সেটা চিহ্নিত করল অ্যাপেল ঘড়ি। শরীরের ক্যান্সার আক্রান্ত অংশ অপারেশন করে বাদ দিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের বয়ান অনুযায়ী, জোর বাঁচা বেঁচে গিয়েছে ১২ বছরের মেয়েটি। দেরিতে ধরা পড়লে তাকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠত। খবর ‘আওয়ার ডেট্রয়েট-য়ের’।
নিউরোএনডোক্রাইম টিউমারে আক্রান্ত হন ১২ বছরের কন্যা ইমানি। টিউমার ছিল ওর অ্যাপেনডিক্সে। ইমামির ব্যবহার করে অ্যাপেল ঘড়ি। ইমামির মা জেসিকা ওই পত্রিকাকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে মেয়ের অ্যাপেল ঘড়ি থেকে বিপবিপ শব্দ শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে মনে হয়েছিল ঘড়ির সমস্যা। মেয়ের হাত থেকে ঘড়ি খুলে রাখতেই আওয়াজ বন্ধ। আবার মেয়ে হাতে ঘড়ি পরলেই বিপবিপ বিপবিপ। কোনও কারণের জেসিকার সন্দেহ হওয়ায় তিনি মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা ইমানির কিছু শারীরিক পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় ধরা পড়ে ইমানির অ্যাপেনডিক্সে একটি টিউমার রয়েছে। তারা নিশ্চিত হয়ে যায় কী রোগে আক্রান্ত ১২ বছরের মেয়ে। তারা অপারেশন করে ওই টিউমার বাদ দেন।
জেসিকা জানিয়েছেন, মেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই তাঁর একমাত্র প্রার্থনা। আর ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ অ্যাপেল সংস্থা ও তাদের তৈরি ঘড়ির প্রতি। মেয়ে যদি এই ঘড়ি ব্যবহার না করত তাহলে যে পরিণতি ভয়ঙ্কর হত সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন মা। একই অভিমত চিকিৎসকদের। তারা এও জানিয়েছেন, নিউরোএনডোক্রাইম টিউমারে এত কম বয়সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় বিরল।
আরও পড়ুন ক্যানসারে আক্রান্ত বোন, চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্ক লুঠ দিদির