আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরাকের এক জনপ্রিয় শিয়া নেতার ঘোষণায় তেতে উঠল রাজধানী বাগদাদ। নিরাপত্তরক্ষীদের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছন কমপক্ষে ১৫ জন। জখম ২০০। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জখমের সংখ্যা ২৫০ কাছাকাছি। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের আঘাত গুরুতর। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান প্রশাসনের।
প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি অনির্দিষ্টকালের জন্য পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেছেন। বন্ধ থাকবে সব সরকারি বৈঠক। পাশাপাশি শিয়া নেতাকে তিনি আর্জি জানিয়েছেন, সমর্থক এবং শিয়াপন্থীদের শান্ত থাকার ঘোষণার। একই অনুরোধ প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশজুড়ে কার্ফু ঘোষণা করেছে সেনা।
রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করেন ইরাকের জনপ্রিয় শিয়ানেতা মুক্তাদা-আল-সদর। আচমকা এই স্বেচ্ছাবসরের ঘোষণা শুনে তাঁর সমর্থক এবং শিয়াপন্থীরা রে রে করে কড়া নিরাপত্তা উপেক্ষা করে গ্রিন জোনে ঢুকে পড়ে। সেখানকার বাড়ি লক্ষ্য করে তারা হামলা চালায়। হামলা হয়েছে রকেটেরও। গ্রিন জোনে পার্কিং প্লেসে তারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে একের পর এক গাড়ি জ্বলতে থাকে। এলাকাটি এমনিতে কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা থাকে।
হামলা-অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌঁছলে শিয়া নেতার সমর্থকেরা তাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালালে ক্ষোভের আগুন ঘি পড়ে। কার্যত গোটা এলাকা জ্বলতে থাকে। মৃত দেহ সরাতে গেলে পুলিশ প্রবল বাধার মুখে পড়ে।
হিংসাত্মক ঘটনার খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যাবিনেটের জরুরী বৈঠক ডাকেন। অন্যদিকে শিয়া নেতা দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা দলীয় কার্যালয় বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।