এই মুহূর্তে




মেজর ডালিমের পর প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর আরও এক খুনি রাশেদ চৌধুরী, ইউনূসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ




নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: বাংলাদেশে মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে রাজাকার সরকার গঠিত হওয়ার পরে একে একে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা। মেজর শরিফুল হক ডালিমের পরে এবার প্রকাশ্যে এলেন আর এক খুনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ রাশেদ চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট তথা রাজাকার পরিবারের সন্তান ইলিয়াস হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলের লাইভ শোয়ে অংশ নেন তিনি। শুধু তাই নয়, কীভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট মধ্যরাতে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তা হেসে হেসে বর্ণনা করেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আশ্রয়ে গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে লস অ্যসাঞ্জেলসেই বহাল তবিয়তে বসবাস করছেন। বাংলাদেশে মোল্লা ইউনূস সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনি। উল্লেখ্য, রাজাকার পরিবারের সন্তান তথা স্বঘোষিত ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনের ‘লাইভ শোয়ে হাজির হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর শরিফুল হক ডালিম।’

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করা রাশেদ চৌধুরীর ১৯৭১ সালের শেষ দিকে ভোল পাল্টে  মুক্তিযোদ্ধাদের খুন করার অভিযানে ভেক ধরে মুক্তিযোদ্ধা সাজেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে গোপন তথ্য পাক হানাদার বাহিনীকে সরবরাহ করতেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কয়েকশো মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে খুন করেছিল পাক সেনারা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তার আসল ভূমিকা জানতে পারার পরে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। সেই রাগ মেটাতেই ডালিম-সহ পাকিস্তানপন্থী সেনা অফিসারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিধন যজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন। শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার পুরস্কার হিসাবে ফের রাশেদ চৌধুরীকে সেনাবাহিনীতে পুনর্বহাল করা হয় ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদায় পদোন্নতি দেওয়া হয়।

পরে ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসাবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান। নাইরোবি, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, জার্মানি, কুয়ালালামপুর, ব্রাসিলিয়া, নাইজেরিয়া ও কানাডায় কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। এরশাদের জমানার পরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে টোকিও দূতাবাসে নিয়োগ করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ঢাকায় ফেরত আসার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু তিনি দেশে ফিরে না এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ১৯৯৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন এবং ২০০৪ সালে তা মঞ্জুর হয়। সেই থেকে লস অ্যাঞ্জেলসেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন।

ইউটিউবার তথা আইএসআই এজেন্ট ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে লাইভ শোয়ে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী জানান, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল গঠন হওয়ার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শেখ মুজিবকে আর বাঁচিয়ে রাখা যাবে না। সেই মতো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরিকল্পনা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত সঁপে দেওয়া হয় কর্নেল ফারুক রহমানের কাঁধে। আর রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আবদুর রশিদ।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অপারেশন ডেভিল হান্টে ৭ দিনে গ্রেফতার ৩,৯২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে মৃত্যু ৬ জনের

ভয়ঙ্কর খবর,ইউক্রেনের চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রে ড্রোন হামলা রাশিয়ার

তালিবান বাংলাদেশে এবার মৌলবাদীদের হুমকিতে বাতিল বসন্ত উৎসব

বিয়ে করলেই মিলবে কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা,কোথায় জানেন ?

চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব ট্রাম্পের, পত্রপাঠ খারিজ করল দিল্লি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর