নিজস্ব প্রতিনিধি, কলম্বো: দেশ ও জাতিকে অন্ধকারের রাস্তা থেকে উদ্ধার করার গুরুদায়িত্ব বর্তেছে তাঁর কাঁধে। অথচ দায়িত্ব নেওয়ার পরে সোমবার প্রথমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বীপবাসীকে কোনও আশার আলোই দেখাতে পারলেন না শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। উল্টে দিলেন দুঃসংবাদ। জানিয়ে দিলেন, দেশে আর মাত্র একদিনের পেট্রল রয়েছে। কোষাগারের দশা বেহাল হওয়ার কারণে বিদেশ থেকে পেট্রল আমদানিও সম্ভব নয়। ফলে আগামী দিন আরও ভয়াবহ। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকারও অনুরোধ জানিয়েছেন।
জন আন্দোলনের মুখে গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন মাহিন্দা রাজাপক্ষে। যদিও তাতে বিক্ষোভ থামেনি। গত বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন চার বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমসিংহে। দায়িত্ব নেওয়ার চার দিন বাদে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থিক অবস্থা সত্যিই শোচনীয়। তাই দেশবাসীর কাছে কোনও সত্য লুকোতে চাইছি না। আমাদের পেট্রল শেষ হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের মাত্র একদিনের পেট্রল মজুত আছে। বিদেশি মুদ্রার অভাবে পেট্রল কেনা যাচ্ছে না। তিনটি জাহাজ উপকূলে দাঁড়িয়ে। ডলার পেলেই পেট্রল দেবে। কিন্তু কিছু করার নেই।’
দেশবাসীকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের জীবনে আগামী কয়েক মাস হবে সবচেয়ে খারাপ। দুঃসময় কাটানোর জন্য কয়েক মাস ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।’ দেশের ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন দিতে নতুন করে টাকা ছাপানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে বিক্রমসিংহে বলেন, ‘আমার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, আমি টাকা ছাপানোর অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছি।’