আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে শনিবার নীরবতা ভাঙল আয়াতুল্লা আলি খামেইনি সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে ২০০ জন মারা গিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে যেমন বিক্ষোভকারীরা রয়েছেন তেমনই নিরাপত্তা রক্ষীরাও চলেছেন।’ যদিও ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান মানতে নারাজ মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত চারশোর বেশি মানুষের প্রাণ ঝরেছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে হিজাব না পরার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনিকে। পুলিশে হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। আর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজপথে নামেন রক্ষণশীল দেশটির মহিলারা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানী তেহরানের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অংসেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সরকার বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানান দেশের তারকা থেকে শুরু করে ক্রীড়াবিদরা। বিক্ষোভ দমাতে চরম দমনপীড়নের পথ বেছে নেয় আয়াতুল্লা আলি খামেইনির সরকার। ১১ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে যেমন গ্রেফতার করা হয়েছে, তেমনই বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
হিজাব বিরোধী আন্দোলনে কত জন প্রাণ হারিয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিসংখ্যান হাজির করা হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চলতি আন্দোলনে চারশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তিনশোর বেশি বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। ইরান সরকার অবশ্য হিজাব বিরোধী বিক্ষোভকে ‘দাঙ্গা’ হিসেবে উল্লেখ করে আন্দোলনের পিছনে আমেরিকা সহ বিদেশি রাষ্ট্রগুলি ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে।