নিজস্ব প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন: মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক রিপোর্ট ভারতীয় শেয়ারবাজার সহ গোটা বিশ্বের আর্থিক দুনিয়ায় ভুমিকম্প ঘটিয়েছেন। ওই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কার্যত পথে বসেছেন এশিয়ার সেরা ধনী গৌতম আদানি। তাঁর বিশাল ব্যবসা সাম-রাজ্য কার্যত টলমল। দু’দিনে ৩ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পদ খুঁইয়ে বিশ্ব সেরার ধনী তালিকায় এক ধাক্কায় তিন নম্বর থেকে সাত নম্বরে নেমে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ বন্ধু শিল্পপতি। আর যে সংস্থার রিপোর্টে আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যত বড় সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে সেই হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রধান সেনাপতি কে চেনেন?
আসুন, সেই নির্ভয় সাহসী মানুষটির সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে ফরেনসিক ফিনান্সিয়াল গবেষণা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ন্যাথান আন্ডারসন। বাবা কলেজের অধ্যাপক। মা নার্স। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই গোয়েন্দাগিরির শখ নাথানের। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে স্নাতক ন্যাথান প্রথম জীবনে ফ্যাক্টসেট রিসার্চ সিস্টেমস ইনকরপোরেটেড নামে একটি তথ্য সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কাজকর্ম নিয়ে গবেষণা করতেন। ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান খোলেন তিনি। কিন্তু কেনই বা হিন্ডেনবার্গ নামটি বেছে নেওয়া হল? ১৯৩৭ সালের ৬ মে নিউ জার্সির ম্যানচেস্টারে ঘটা হিন্ডেনবার্গ এয়ারশিপ দুর্ঘটনা থেকেই নাম নেওয়া হয়েছে।
মূলত শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার কাজকর্ম বিশ্লেষণ করতে থাকেন ন্যাথান। বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার ইক্যুইটি, ক্রেডিট ও ডেবিট পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে গাফিলতি কিংবা কারচুপি ধরে তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। অর্থাৎ কোনও সংস্থা যদি ব্যবসার জন্য অসৎ পথ অবলম্বন করেন, জালিয়াতি করে তাহলে সেই সংস্থার জালিয়াতির পর্দা ফাঁস করেন। শুধু গৌতম আদানিই নন, এর আগে টুইটার তথা টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্কের সংস্থা নিয়েও বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছিলেন অ্যান্ডাসসন। এখনও পর্যন্ত ১৬টি বহুজাতিক সংস্থার ‘অনৈতিক’ কাজকর্ম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসে খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন আন্ডারসন।