নিজস্ব প্রতিনিধি: ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও পাকিস্তানে হামলা। পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ১০ সন্ত্রাসী। দিন কয়েক আগেই পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে আস্ত একটি ট্রেন হাইজ্যাক করে নেয় বালুচ লিবারেশন আর্মি সদস্যরা। ট্রেনে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। জাফর এক্সপ্রেসটি পেশোয়ারগামী ছিল। বোলানো পাহাড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি গতি কমিয়ে দেয়। সেই সুযোগেই মারাত্মক বিস্ফোরক ঘটায় BLA-কর্মীরা। এবং এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। 

পাক সেনারা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা সন্ত্রাসীদের হাতে বন্দী সকলকে উদ্ধার করেছেন। কিন্তু একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এখনও বোলানো পাহাড়ে ১০০ জনের লাশ পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে BLA সন্ত্রাসবাহিনী জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে এখনও ২০০ জন বন্দী। তাহলে সেনারা কী করে জানালেন সবাইকে উদ্ধার করেছে? পাক সরকারের কথায় কোনও যুক্তি নেই বলে দাবি উঠেছে! এদিকে BLA বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহিদ হয়েছেন অনেক সেনা। এবার পাল্টা প্রতিশোধে ১০ সন্ত্রাসীকে খতম করল পাক সেনাবাহিনী। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি চেকপয়েন্টে সন্ত্রাসীদের হামলা ব্যার্থ করেছে পাক সেনা। পাক সেনার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী-সহ খতম হয়েছেন ১০ সন্ত্রাসী। এই বিষয়ে ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (ISPR) জানিয়েছে, সন্ত্রাসীরা ট্যাঙ্কের জান্দোলা এলাকার চেকপয়েন্টে হামলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নিরাপত্তা সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে।

আক্রমণকারীদের চেকপয়েন্টের কাছে অগ্রসর হতে কার্যকরভাবে বাধা দিয়েছেন। তীব্র বন্দুক যুদ্ধের পর পাক সেনারা অভিযান শুরু করে এবং আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী-সহ ১০ জন সন্ত্রাসীকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত বুধবার বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন ছিনতাইকারী এবং পার্বত্য অঞ্চলে যাত্রীদের বন্দি করে রাখা ৩৩ হামলাকারীকে হত্যা করার একদিন পরেই ঘটনাটি ঘটল। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (PICSS) কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দেশে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র বৃদ্ধি হয়েছেযা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ, তারপরে বেলুচিস্তান।