এই মুহূর্তে




ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করলেই মৃত্যু অনিবার্য, সৌদির যুবরাজের প্রাণ সংশয়ে




নিজস্ব প্রতিনিধি: মৃত্যু হুমকির সম্মুখীন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সলমান। গাজা-ইজরায়েল-হামাসের সংঘর্ষের সূত্র ধরে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রতিবেদন অনুসারে, এমবিএস মার্কিন আইন প্রণেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক চলাকালীন বলেছে যে, সৌদিরা যেন ইজরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক চুক্তি না করে। এই প্রসঙ্গে MBS মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের বলেছে, সৌদি আরব ইজরায়েলের সঙ্গে একটি স্বাভাবিককরণ চুক্তি স্বাক্ষর করলে মোহাম্মদ বিন সলমানকে হত্যা করা হতে পারে, যার মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি থাকবে না। আরেকটি মার্কিন সংবাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সৌদি যুবরাজ মার্কিন কংগ্রেস থেকে তার জীবনের হুমকি নিয়ে আলোচনা করার সময় দাবি করেছিলেন যে, তাঁদের এই চুক্তিটি ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি পরিষ্কার পথ খুলে দেবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আমেরিকান আইন প্রণেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমবিএস মিশরের প্রাক্তন নেতা আনোয়ার সাদাতের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন সলমানের অবস্থাও তাঁর মতো হতে চলেছে। কারণ আনোয়ার সাদাত ১৯৭১ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পর চরমপন্থীদের হাতে নিহত হন। বিষয়টির সঙ্গে যোগসূত্র ঘটিয়ে MBS চুক্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করে বলেছে, ‘সৌদি জনগণ এই বিষয়ে খুব যত্নশীল এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্য এই বিষয়ে খুব চিন্তনশীল। আর আমি যদি এ বিষয়ে মনোযোগ না দিই তাহলে ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষাকর্তা হিসেবে আমার মেয়াদ নিরাপদ হবে না। এমবিএস কতদিন আগে তাকে হত্যার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইজরায়েল-সৌদি চুক্তি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা কম রয়েছে।’ হত্যার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও MBS ইজরায়েলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সলমনকে হত্যার হুমকি সত্ত্বেও, MBS মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কারণ ইজরায়েলের সঙ্গে চুক্তি সৌদি আরবের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর বিনিময়ে আমেরিকা সৌদি আরবকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে এবং অস্ত্রের ক্রমাগত সরবরাহ দেবে। এছাড়া আমেরিকা বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি শুরু করতে সৌদিকে সাহায্য করবে। কিন্তু মার্কিন সমর্থিত ইজরায়েল-সৌদি চুক্তি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবিতে বাধার মুখে পড়েছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের দাবি অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করে আসছেন। গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা দখল নিয়ে ইজরায়েল- ফিলিস্তিনির মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। যাতে ভলি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আর এই হামলার মধ্যেই এ বছরের শুরুতে সৌদি আরব স্পষ্টভাবে আমেরিকাকে জানিয়ে দিয়েছিল যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইজরায়েলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক স্থাপন করবে না। পাশাপাশি গাজায় ইজরায়েলে হামলা বন্ধ করতে হবে বলে দাবি তুলেছিল সৌদি আরব।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

জুটছে না ভাত রুটি ! চিনি মেশানো জল গিয়ে দিন কাটছে কিউবানদের

রিল বানানোর জন্য হতেই হবে সুন্দরী, ইনস্টাগ্রাম সম্পূর্ণভাবে মুছছে বিউটি-ফিল্টার

পেজার বিস্ফোরণের পর লেবাননের উপর তীক্ষ্ণ নজর তাইওয়ানের

রাশিয়ার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ইউক্রেনে অস্ত্র গেল ভারত থেকে

লেবাননের হামলা সম্পর্কে আগে থেকেই জানত আমেরিকা

পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ভারত সরকারকে তলব করল মার্কিন আদালত

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর