আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রত্যর্পণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্মতি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জে। তবে তিনি সরাসরি সর্বোচ্চ আদালতে সরাসরি মামলা রুজু করতে পারবে না। হাইকোর্ট জানিয়েছ, আইনের দিক থেকে বিচার করলে এটা বলা যেতে পারে, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অধিকার রয়েছে জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের। তবে তিনি সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্ট আগে বিচার করে দেখবে, অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পিটিশন ফাইলের ব্যাপারে সম্মতি দেওয়া যায় কি না। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতাকে।
যদিও অ্যাসেঞ্জের বান্ধবী স্টিলা মরিস হাইকোর্টের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, ‘এই রায়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আদালত এই রায় দেওয়ায় আমরা খুশি। আইনি লড়াইয়ের প্রথম ধাপে আমরাই জয়ী হলাম।
গত কয়েক মাস ধরে জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জেকে নিয়ে তপ্ত আন্তর্জাতিকমহল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মার্কিন সেনার গোপন নথি ফাঁসের। ওই কাণ্ডের পর জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জে ব্রিটেনে আশ্রয় নেন। আমেরিকা সে দেশ থেকে তাকে ফেরত চেয়ে সরব। মামলা গড়ায় আদালতে। প্রথম নিম্ন আদালত অভিযুক্তকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দিলেও নিম্ন আদালতে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। গত কয়েক মাস ধরে চলছিল শুনানি। হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, সুপ্রিম কোর্টে জুলিয়ান অ্যাসেঞ্চে আবেদন করতে পারবেন। তবে চাপিয়ে দিল শর্ত।
স্টিলা মরিস জানিয়েছেন, অ্যাসেঞ্জে শারীরিকভাবে আগের থেকে অনেকটাই দূর্বল। গত তিন বছর ধরে সে জেলে বন্দি। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি না দিলে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হবে।