আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়েদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ব্রিটেন। বুচার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্রিটেন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন রুশ অর্থনীতিকে আঘাত করতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। রাশিয়া থেকে আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞায় এবার নতুন সংযোজন।
শুক্রবার ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুতিনের দুই মেয়ে কাতেরিনা তিখনোভা ও মারিয়া ভরোন্তসোভার নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি রুশ বিদেশমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের মেয়ে সেরগেইভনা ভিনোকুরভার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার জেরে তাঁরা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন না। পাশাপাশি ব্রিটেনে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এর আগে আমেরিকা একই ভাবে রুশ প্রেসিডেন্টের দুই মেয়ে ও রুশ বিদেশমন্ত্রীর মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
পুতিনের দুই মেয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য সেভাবে কোনোদিন প্রকাশ্যে আসেনি। রাশিয়ার বাইরে আদৌ রুশ প্রেসিডেন্টের দুই মেয়ের কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা প্রতীকি নিষেধাজ্ঞা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে ব্রিটেন।
পুতিনের দুই মেয়ে। এই দুই মেয়ের আসল নাম কী, তা কেউ জানে না। পুতিনের মেয়েদের একাধিক নাম শোনা যায়। কিন্তু কোন নামটি আসল তা ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করে, পুতিনের বড় মেয়ের নাম কাতেরিনা তিখনোভা ও ছোট মেয়ের নাম মারিয়া ভরোন্তসোভার।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর দুই মেয়ের সম্পর্কে একাধিক তথ্য দিয়েছিলেন। তবে সেই সময় তিনি দুই মেয়ের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেছিলেন, দুই মেয়ে রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। একাধিক বিদেশি ভাষায় তাঁরা সাবলীলভাবে কথা বলে যেতে পারেন। তাঁর বড় মেয়ে নোমেনকো নামের একটি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। এই সংস্থাটি রাশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি স্বাস্থ্য বিনিয়োগ সংস্থা। ছোট মেয়ের মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনস্টিটিউট রয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের কোনও ছবি এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি।