-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 9:22 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এর কোয়ালিফাই-২ ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স শুক্রবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল ৬২ রানে। এর ফলে ম্যাচ জিতে গুজরাট পৌঁছে গেল চলতি আইপিএল-এর ফাইনালে। আগামী রবিবার হার্দিক পাণ্ডিয়ারা ফাইনালে খেলবে চেন্নাই-এর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৪ রানের টার্গেট গুজরাট খাড়া করে মুম্বই-এর সামনে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় মুম্বই-এর ইনিংস। গুজরাটের হয়ে ব্যাট হাতে ১৩৯ রান করেন শুভমন। এবং বল হাতে নায়ক হয়ে ওঠেন মোহিত শর্মা। ২ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট পকেটে পুড়ে আগের ম্যাচে মুম্বইয়ের নায়ক হওয়া আকাশ মাধওয়ালের মতো শুক্রবার নায়ক হয়ে গেলেন এই গুজরাট বোলারটি।
শুক্রবার নিজেদের ঘরের মাঠ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সিকান্দর হলেন একজনই। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটার শুভমন গিল। চলতি আইপিলএল-এ দূরন্ত ছন্দে ছিলেন শুভমন। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই গুজরাটের হয়ে দূরন্ত ব্যাট করেছেন তিনি। তাই তো গুজরাট সাপোর্টাররা বুক বাজিয়ে বলেন, হামারা পাস শুভমন হ্যায়।
সত্যিই কথাটা একদম তাই। যেদিন শুভমন খেলেছেন, সেদিনই গুজরাট ম্যাচে জয় পেয়েছে। প্লে-অফের প্রথম ম্যাচেও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সেভাবে রান পাননি এই ব্যাটার। ফলে ম্যাচ হারতে হয় গুজরাটকে।
কিন্তু শুভমন সবকিছুর জবাব দিয়ে দিলেন শুক্রবার। এই দিনটা কেবল তাঁর জন্যই লেখা ছিল। শুভমন এদিন প্রমাণ করলেন, কেন তাঁকে ভারতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান ব্যাটসম্যান হিসেবে বলা হয়।
মুম্বই-এর বিরুদ্ধে ম্যাচ শুভমন করলেন ১৩৯ রান। আইপিএল-এর ইতিহাসে যা এক অনন্য নজির। মাত্র ৬০ বল খেলে হার্দিক দলের অন্যতম স্তম্ভ এই রান করেন। চোখ ধাঁধানো এই ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১০টি ছয়।
শুভমন ছাড়াও হার্দিক দলের হয়ে ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন সুধাশরণ। হার্দিক ও রশিদ অপরাজিত থাকেন। হার্দিক করেন ২৮ রান। এবং রশিদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র পাঁচ রান।
লখনউ-এর বিরুদ্ধে মুম্বইকে একাই জিতিয়েছিলেন নবাগত পেসার আকাশ মাধওয়াল। শুক্রবার অবশ্য আকাশকে ভয়ঙ্কর হতে দিলেন না শুভমন। অবশ্য শুধু আকাশ কেন, মুম্বই-এর বাকি বোলাররাও এদিন ব্যর্থ। রোহিতের দলের চার অভিজ্ঞ বোলার শুক্রবার ম্যাচে যা রান দিলেন, তাতেই বোঝা যায় শুভমন ঝড় কতটা ছিল। ক্যামরন গ্রিন ৩ ওভারে ৩৫ রান, আকাশ মাধওয়াল ৪ ওভারে ৫২ রান, জর্ডন ৪ ওভারে ৫৬ রান, পীযূশ চাওলা ৩ ওভারে ৪৫ রান, এবং কার্তিকেয় ২ ওভারে ১৫ রান।
তবুও আকাশের প্রাপ্তি শুভমনের উইকেটটি। ডাভিড-এর হাতে ধরা দিয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন শুভমন। না হলে আরও বেশ কিছু রান হয়তো করতে পারত হার্দিরকের দল। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৩ রানে শেষ করে গুজরাট।
এই বিশাল রান তাড়া করা যে মুখের কথা নয়, তা ভালোই জানতেন মুম্বই খেলোয়াড়রা। তবুও তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টার কোনও দাম রইল না। হিটম্যান ছন্দে নেই। মাত্র ৮ রান করেই সামির বলে সাজঘরের পথ ধরলেন তিনি। ক্যামরন গ্রিন তবুও মন্দের ভালো। ৩০ রান করে আউট হন তিনি।
ক্যামরন ফিরতেনই একা কুম্ভ রক্ষা করার দায়িত্ব এসে বর্তায় সূর্যের কাঁধে। শুভমনের মতো তিনিই চেষ্টা করলেন দলকে সাহায্য করার। তিলক ভার্মাকে সঙ্গে নিয়ে আপ্রাণ লড়াইয়ের চেষ্টা করতে লাগলেন তাঁরা দুজন। তিলক ১৪ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন। আর সূর্য করেন ৩৮ বলে ৬১ রান। যে সময় সূর্য কিরণ দেওয়া শুরু করেছিলেন ঠিক সেই সময়ই তাঁকে নিভিয়ে দিলেন মোহিত শর্মা।
সূর্য আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মুম্বই-এর জেতার আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানে শেষ হয়ে গেল মুম্বইয়ের ইনিংস। ম্যাচ হেরে এবারের মতো বিদায় নিল মুম্বই।