নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ শুক্রবার গুজরাটকে নাস্তানাবুদ করে রোহিত শর্মার মুম্বই ম্যাচ জিতল ২৭ রানে। মুম্বই-এর শুক্রবার অসাধারণ খেলে সেঞ্চুর হাঁকালেন সূর্যকুমার যাদব। ম্যাচ জিতে প্লে-অফে যাওয়ার রাস্তাটা অনেকটাই পরিষ্কার করে ফেললো মুম্বই। শেষ বেলায় গুজরাটের হয়ে দূরন্ত খেললেন রশিদ খান।
শুক্রবারও মুম্বই-এর হয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সেই সূর্যকুমার যাদব। আগের ম্যাচে ছন্দ পেয়ে সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও গুজরাটের বিরুদ্ধে তা পুরোপুরি উসুল করে নিলেন এই ব্যাটসম্যান।
বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন গুজরাটের বিরুদ্ধে ঠিক সেইখান থেকেই শুরু করলেন সূর্য। বুঝিয়ে দিলেন তিনি হারানো ছন্দ এবার ফিরে পেয়েছেন। সুতরাং কুচ পরোয়া নেহি। ঠিক সেই কাজটাই শুক্রবারও দেখা গেল তাঁর ব্যাটে।
গুজরাটের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই দলের দুই ওপেনার যখন ক্রিজে প্রায় সেট হতে যাচ্ছেন ঠিক সেই সময়ই বল হাতে এসে দুটি ধাক্কা দিয়ে রোহিত ব্রিগেডকে কিছুটা বেসামাল করে দিয়েছিলেন আফগান বোলার রশিদ খান। ইষাণ ও রোহিতকে আউট করে।
কিন্তু হার্দিক পাণ্ডিয়ার দলের বোলাররা বুঝতে পারেননি এরপর সূর্যের দাপটে তাঁদের অবস্থা হতে চলেছে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো। হলও ঠিক তাই। মাত্র ৪৯ বল খেলে ১১টি চার ও ছটি ছয়ের সাহায্যে ১০৩ রান করে অপরাজিত থেকে সূর্যকুমার যাদব নামক ব্যাটসম্যানটি ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি ছন্দে থাকলে কি হয় বিপক্ষের বোলারদের।
তবে সূর্যের পর ব্যাট হাতে মুম্বইকে কিছুটা টেনেছিলেন বিনোদ। মূলত সূর্যকুমার যাদব (১০৩), ইষাণ কিষাণ (৩১), রোহিত শর্মা (২৯) এবং বিনোদের (৩০)- রান মুম্বইকে পৌঁছে দেয় ২১৮ রানে।
বিশাল এই টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে গুজরাট। ঋদ্ধিমান, হার্দিক ও শুভমন জলদি ফিরে যান সাজঘরে। তখন দলের রান ২০-ও পৌঁছয়নি। এই অবস্থায় দলকে টানছিলেন ডেভিড মিলার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের ২৬ বলে ৪১ রান করলেন তিনি। তবে মিলারের পর শেষ বেলায় এসে ব্যাট হাতে ভেলকি দেখালেন আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান।
সবাই যখন ভেবেছিল যে গুজরাট হয়তো ১০০-রানের গণ্ডিও পার করতে পারবে না, সেখান থেকে দলকে একাই টেনে নিয়ে গেলেন রশিদ। ২১ বল খেলে নিজের অর্ধ্বশতরান পূর্ণও করে ফেলেন এই ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন রশিদ। মাত্র ৩২টি বল খেলে ৩টি চার ও ১০টি ছয়ের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯১ রানে গুজরাটের ইনিংস শেষ হয়ে ২৭ রানে ম্যাচ হারলেও রশিদের ব্যাটিংকে কুর্ণিশ জানান মাঠে উপস্থিত সকলেই।