নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল-এ রবিবার ২২ গজে লড়াই হবে দুই ভাই-এর। অর্থাৎ দলনেতা হিসেবে দুই দলকে নেতৃত্ব দেবেন দুই ভাই। এঁরা হলেন, গুজরাট দলের হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং লখনউ সুপার জায়ান্ট-এর ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। পাণ্ডিয়া ভ্রাতৃদ্বয়ের এই লড়াই দেখার জন্যই এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেননা প্রথম ম্যাচে হার্দিকরা ৭ রানে জয় পেয়েছিল। কাজেই রবিবার লখনউ-এর কাছে বদলার ম্যাচ।
এই ম্যাচে পরস্পরের বিরুদ্ধে নামার আগে লিগ টেবিলের এক নম্বর স্থানে রয়েছে গুজরাট। অন্য দিকে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে লখনউ। কাজেই রবিবার ম্যাচটি জিততে লখনউ-এর মূল লক্ষ্যই হবে চেন্নাইকে টপকে গুজরাটের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলা। অন্য দিকে হার্দিক তাঁর দলের এক নম্বরটা স্থানটাও ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর। কেননা প্রথম সাক্ষাতে নিজের ব্যক্তিগত রানের দিক থেকেও টেক্কা দিয়েছিল ক্রুণালকে। কাজেই রবিবার দলগত লড়াই-এর পাশাপাশি পাণ্ডিয়া ভ্রাত্বদ্বয়ের লড়াইও হবে আহমেদাবাদে।
লখনউ দল গুজরাটের মুখোমুখি হওয়ার আগে চেন্নাই-এর মুখোমুখি হলেও, সেই ম্যাচ বৃষ্টির কারণে স্থগিত হয়ে যায়। ফলে দুই দলই পায় একটি করে পয়েন্ট। তাই রবিবার ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট ঘরে তোলাই লক্ষ্য ক্রুণালের। কেননা, এখন অবধি ৩ ম্যাচের হেড টু হেড লড়াইয়ে তিনবারই নিজেদের জয় হাসিল করে নিয়েছে গুজরাট। কাজেই রবিবার আহমেদবাদের মাটিতে ভাই হার্দিককে হারিয়ে লখনউ-কে জিতিয়ে ইতিহাস তৈরি করতে কি পারবেন ক্রুণাল?
হার্দিক যে এই ম্যাচেও তাঁর শক্তিশালী বোলিং-লাইন আপের দিকেই বেশি ভরসা করবেন তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। কেননা রাজস্থান ম্যাচে হার্দিকদের হয়ে একাই তিনটি উইকেট পকেটে পুড়েছিলেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। নূর আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন নূর আহমেদ। আর মহম্মদ সামি থেকে শুরু করে হার্দিক নিজেও একটি করে উইকেট। কাজেই গুজরাট-এর বোলিং যে কোনও দলের কাছেই একটা ভীতি।
ব্যাটিং-এ তাঁর ভরসা অবশ্যই শুভমন।সঙ্গে ঋদ্ধিমান, ডেভিড মিলাররা তো আছেনই। হার্দিকও আগের ম্যাচে রান পেয়েছেন। কাজেই বিশেষজ্ঞদের মতে রবিবার দুই ভাইয়ের দ্বৈরথে অনেকটাই এগিয়ে হার্দিক।
অন্য দিকে, লখনউ-দলে কেএল রাহুল না থাকাটা একটা বিরাট ফ্যাক্টর। কাজেই রাহুলের অভাব কতটা মেটাতে পারবেন ক্রুণাল তা সময়ই বলবে। কেননা, শক্তিশালী গুজরাটকে হারাতে গেলে এই ম্যাচে মেয়ার্স এবং নিকোলাস পুরাণকে বড় রান করতেই হবে সামি-রশিদের বোলিংকে সামলে। না হলে সমূহ বিপদ।