নিজস্ব প্রতিনিধি: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা পদে চাকরিপ্রার্থীদের (SLST) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও জট বাড়ল। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যাঁরা সুপারিশপত্র পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া যাবে না। ২০১৬ সালে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে কমিশন। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এক মামলার ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ (Stay Order) দিয়েছিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। শুক্রবার সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে এসএসসি।
আদালতে সওয়াল-জবাবের সময় স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, কর্মশিক্ষায় ৫৮৫ শূন্যপদের মধ্যে ৫১৪ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে এবং শারীরশিক্ষায় ৮২৪ শূন্যপদের মধ্যে ৭৬৬ জনকে সুপারিশপত্র দেওয়া হয়েছে। এদিন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, আপনারা কি নিয়োগ পত্র দিয়েছেন? পর্ষদের আইনজীবীর তরফে বলা হয়, ‘না, আপনি মৌখিক নির্দেশে নিয়োগপত্র দিতে বারণ করেছিলেন, তাই পর্ষদ কোন নিয়োগপত্র দেয়নি।’ শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ২৮ শে নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে ৩০ নভেম্বর।