এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

থিম কেড়েছে আলোর কদর, ভিন রাজ্যে পাড়ি ফরাসডাঙার শিল্পীদের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: থিম(Theme) জাঁকিয়ে বসেছে কলকাতা(Kolkata) ও শহরতলির বুকে। সেই থিমের দাপটেই কোনঠাসা দশা ফরাসডাঙা থুড়ি চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের। কলকাতা ও শহরতলির বুকে যেমন সেই কাজের কদর কমেছে তেমনি কমেছে আলোর চাহিদাও। ওই সব এলাকার কোথাও কোথাও থেকে আলোর বরাত এলেও মিলছে না সঠিক দাম। তাই আবেগ থাকলেও বাঙালির পুজোয়(Durga Puja) চন্দননগরের শিল্পীরা সবাই ক্রমশ ভিন রাজ্যমুখী হচ্ছেন। পেটের তাগিদেই তাঁদের পাড়ি জমাতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে। কেননা সেখানেই ক্রমশ বাড়ছে চন্দননগরের আলোর(Chandannagar Lighting) চাহিদা। ভিন রাজ্যের বরাতেই নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ফরাসডাঙার আলোর ব্যবসা। কলকাতার বুকে তো বটেই, শহরতলি এলাকারও বহু বড় পুজো আলোয় সাজিয়েছেন চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো সেই সব গিলেছে বাঙালি। কিন্তু থিমের আবির্ভাব সব বদলে দিয়েছে।

চন্দননগরের শিল্পীদের দাবি, কলকাতা ও শহরতলির এলাকা থেকে তাঁরা এখনও ডাক পান। কিন্তু সেই ডাকে তাঁরা আর সাড়া দিতে চান না। কেননা তাঁদের দাবি, কলকাতায় কাজ করে পকেট ভরছে না। কাজের দাম মিলছে না। শুধু তাই নয়, আলোকশিল্পীদের খরচ বাড়লেও বারোয়ারিগুলি সেই অতিরিক্ত টাকা দিতে নারাজ। তাই ইচ্ছা থাকলেও কলকাতায় কাজ করা আর তাঁদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। চন্দননগরের নাম ভাঁড়িয়ে অন্য জায়গার কিছু ব্যবসায়ী বর্তমানে কলকাতায় কাজ করছেন বলেও তাঁদের অভিযোগ। এই অবস্থায় তাঁরা পাড়ি জমাচ্ছেন জেলার পথে বা ভিন রাজ্যের পথে। কেননা সেখানে এখন ক্রমশই বাড়ছে এই আলোর চাহিদা। সেখানকার বাসিন্দারা থিম জোয়ারে ভাসতে চান না বরং আলোর নতুন নতুন কাজ দেখতে চান। তাই কলকাতা অপেক্ষা বাইরে কাজ করেই এখন তাঁদের বেশি রোজগার হচ্ছে। অনেকেই আর কলকাতায় যেতে চাইছেনই না। একইসঙ্গে তাঁরা এটাও জানিয়েছেন, এলইডি আসায় এখন তাঁদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়েছে। চন্দননগরের কাজ একটু দেখে নিলেই সড়গড় হয়ে যাচ্ছেন অন্য কারিগররা। তাই বেশি সংখ্যক লোক কাজ পাচ্ছে।  

চন্দননগরে মোট আলোকশিল্পীর সংখ্যা দু’শোরও বেশি। তার মধ্যে চন্দননগর ‘লাইট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আওতায় রয়েছেন ৩৪ জন। শিল্পীদের অনেকেই জানাচ্ছেন, কলকাতায় ষষ্ঠী থেকে দশমী যে আলোর মূল্য ছিল ৭ লক্ষ, এখন প্রায় পনেরো দিনে তার জন্য ৪-৫ লক্ষ টাকার বেশি মিলছে না। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবি, কলকাতার বড়বাজার থেকে রেডিমেড এলইডি(LED) কিনে নিচ্ছেন সেখানকার আলো ব্যবসায়ীরা। এরপর চন্দননগরে কাজ শেখা কারিগরদের একাংশকে দিয়ে সেই আলো বোর্ডে সাজিয়ে পুজোর বাজার জমাচ্ছেন।

একসময়ে ব্যবসায়িক কারণে চন্দননগরের বড় শিল্পীদের টেক্কা দিতে ছোট শিল্পীরা ঠিকাদার মারফত আলো ভাড়া দেওয়া শুরু করেছিলেন। তাতে শিল্পীদের আলো নিয়ে যাওয়া থেকে ‘সেট’ করা পর্যন্ত মাথাব্যথা থাকত না। ফলে কম দরে ঠিকাদারদের আলো ভাড়া দেওয়া হত। বর্তমানে তার জেরেই বারোয়ারিগুলি কম টাকা দিতে চাইছে। প্রতিযোগিতার বাজারে চন্দননগরের আলোকশিল্পকে টিকে থাকতে গেলে সব দিক থেকে আরও আধুনিক হতে হবে। নতুন ভাবনারও দরকার। গুজরাত, হায়দরাবাদ, রাজস্থান প্রভৃতি জায়গা থেকে এ রাজ্যে আসা অনেকে এখন আলোর ব্যবসায় টাকা ঢালছেন। আধুনিক হতে না পারলে চন্দননগরের আলোর ব্যবসা ভিন্‌ রাজ্যের ওই সব ব্যবসায়ীদের কুক্ষিগত হয়ে যাবে বলেও এখন অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ‘SET’ গঠন লালবাজারের

ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

উত্তরপাড়ার মাখলাতে দৃষ্টিহীনদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজর কাড়া ফলাফল

তিলজলায় প্রচন্ড গরমে পুকুরে স্নান করতে নেমে ৩ কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

শনিবার থেকে উত্তরবঙ্গে এবং রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড় – বৃষ্টি শুরু হবে

সুবীরেশ-কল্যাণময়কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল, তথ্য পেশ তাঁদের আইনজীবীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর