নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে বিদ্যুৎক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে সাকুল্যে এক লক্ষের মতো চুক্তিভিত্তিক কর্মী(Contractual Workers) রয়েছেন। এর মধ্যে একমাত্র সরকারি সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের(WBPDCL) অধীনে প্রায় সাড়ে চার হাজার এই ধরনের কর্মীর মজুরি ও অন্যান্য পাওনাগণ্ডা নির্ধারণে তিন বছর অন্তর ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়। বাকি সংস্থার কর্মীরা কোম্পানি নির্ধারিত মজুরি অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। বিদ্যুৎক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ অনেক বেশি– এই যুক্তিতে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিক সংগঠনগুলি এই কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি(Minimum Wages) বিধির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছিল। এবার সেই ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রায় এক লক্ষ চুক্তিভিত্তিক কর্মী যাতে নূন্যতম মজুরি ও সুযোগসুবিধা পান তার জন্য তাঁদের ন্যূনতম মজুরি বিধির আওতায় নিয়ে আসছে শ্রমদফতর(Labour Department)।
আরও পড়ুন পার্ক সার্কাসে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উলটে গেল গাড়ি, চালক পলাতক
সরকারি সংস্থা পিডিসিএল-এর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী অদক্ষ, অর্ধদক্ষ ও দক্ষ– এই তিন ধরনের কর্মীর মাসিক মজুরি ১০ থেকে ১৪ হাজার টাকা চালু রয়েছে। বেসরকারি সিইএসসি’র ক্ষেত্রে সেই অঙ্ক আরও বেশি। কিন্তু নির্দিষ্ট বিধি না থাকায় এই সব কর্মীদের মজুরি নির্ধারণকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সংঘাতও বেধেছে। অশান্তি এড়াতে কোম্পানিগুলিও তাই একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি বলবৎ করার পক্ষেই মত দিয়েছে সরকারের কাছে। জানা গিয়েছে, শ্রমদফতর সম্প্রতি আরও কয়েকটি ক্ষেত্রের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বিষয়েও এই সিদ্ধান্ত করেছে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের থেকে সবুজ সঙ্কেত পেয়ে। তারপরেই রাজ্যের শ্রম দফতরের সিনিয়র ল অফিসার সুরেন্দ্র চৌধুরী একটি নোটিস জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, সব সংস্থা, শ্রমিক সংগঠন এবং আমজনতা নূন্যতম মজুরির বিষয়ে ৩ মাস সময় পাবেন তাঁদের মতামত জানানোর জন্য। তবে ঠিক কত হতে পারে এই ১ লক্ষ কর্মীর পরিবর্তিত মজুরি বা বেতনের অঙ্ক তা নিয়ে অবশ্য এখনই দফতরের কেউ রা কাড়ছেন না। তবে ন্যূনতম মজুরি শিডিউলে আসার পর বেতন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা থাকছেই। পাশাপাশি সব সংস্থার ক্ষেত্রেই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মাসিক আয়ে আর তারতম্য থাকবে না বলেই জানাচ্ছেন রাজ্যের শ্রমদফতরের আধিকারিকেরা।