নিজস্ব প্রতিনিধি: নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমায় রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল। নয়শোর ঘর থেকে সংক্রমণ নেমে এলো সাতশোর ঘরে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭২৫ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি নিম্নমুখী দৈনিক মৃত্যুও। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আট জন। যদিও দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও তা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। কেননা শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় অনেকটা বেড়ে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে যথারীতি রয়েছে কলকাতা। মহানগরীতে একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২০৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ একশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে।
দুর্গাপুজো মিটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবের জেরে রাজ্যে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। মারণ ভাইরাসের চোখ রাঙানিতে সিঁদূরে মেঘ দেখছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। প্রাণঘাতী ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যে লোকাল ট্রেন চালু করার ফলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে সতর্কও করে দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ২৯ হাজার ১১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ৭২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মারণ ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৩৩ জনে। একই সময়ে করোনার ছোবলে আরও আটজন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ায় রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হলেন ১৯ হাজার ১৪৯ জন।’
টানা বেশ কয়েকদিন বাদে স্বস্তি দিল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৬৭ জন। এ নিয়ে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৩৮ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ২৯ শতাংশে। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ১৫০টি। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ১৪৬ জন।’