নিজস্ব প্রতিনিধি: বাগুইআটি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, কর্তব্যে গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। ডিজিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তীব্র তিরস্কার করেছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে। বাগুইআটি কাণ্ডের পরে প্রথমে ক্লোজ ও পরে সাসপেন্ড করা হয় আইসিকে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরে রাজ্য পুলিশের ডিজি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ফিরহাদ হাকিম গেলেন মৃত অতনু দে ও অভিষেক নস্করের বাড়িতে।
এদিন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ সৌগত রায়। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। অন্যদিকে, সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের দিন দুটি গাড়ি ব্যবহার করেছিল অপহরণকারীরা।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁরা এসেছেন মৃতদের বাড়ি। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। ওসি ভুল করেছে বলেও বলেন ফিরহাদ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, তদন্তে দোষীরা ধরা পড়বেই। আইনি পথেই তাদের কড়া শাস্তি হবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, শোকাতুর পরিবারের পাশে সমস্ত রকম ভাবে থাকার। জানা গিয়েছে, বাগুইআটি কাণ্ডের রিপোর্ট ডিজির কাছে দেখতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সৌগত রায় বলেন, পুলিশের ভূমিকা লজ্জাজনক। দোষীরা ধরা পড়বেই। সুজিত বসু বলেন, গত বুধবারেও তিনি এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন।