নিজস্ব প্রতিনিধি: সাড়ে তিন ঘন্টার বৈঠক। সেই বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষ আমলা যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিলেন। দুই আমলার ক্ষুরধার যুক্তির মুখে আর নিজের জেদ ধরে রাখতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের আটকে থাকা তিন বিলে সম্মতি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ফলে কাটল জটিলতা। রাজভবন থেকে যখন বুধবার রাতে বেরিয়ে এলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অর্থসচিব মনোজ পন্থ, তখন তাঁদের মুখে জয়ের হাসি।
রাজ্যের একাধিক বিলকে নানা অছিলায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে রাজ্য বাজেটের অতিরিক্ত ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত দুটি ও একটি অর্থবিল ছিল। ওই তিন গুরুত্বপূর্ণ বিল আটকে রাখায় সিঁদূরে মেঘ দেখছিলেন শীর্ষ আমলারা। এদিন দুপুরে রাজভবনে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও অর্থসচিব মনোজ পন্থকে তলব করেন ধনকড়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে যান দুই শীর্ষ আমলা। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা ধরে বৈঠক হয়। রাজ্যপালের যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দুঁদে দুই আমলা। বৈঠকের মাঝে একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন ধনকড়।
এদিন রাতে নিজেই টুইট করে বিলে সম্মতি দেওয়ার কথা জানান রাজ্যপাল। টুইটে তিনি লেখেন, ‘মুখ্যসচিব ও অর্থসচিবের সঙ্গে আলোচনার পরে পশ্চিমবঙ্গ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল-২০২২ (১)’ ও পশ্চিমবঙ্গ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল-২০২২ (২)’ এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ অর্থ বিল ২০২২’ -এ সম্মতি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন আরও বেশ কিছু বিলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পেশ করবেন।’