নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ১ বছর আগের বিয়ে। দুই পরিবারের অমতেই তা হয়েছিল। দুই তরফের কেউই সে বিয়ে মেনে নেয়নি। আর তার জেরেই অশান্তি ক্রমশই বেড়ে চলেছিল নবদম্পতির সংসারে। সেই অশান্তির ঘনঘটাতেই স্বামীর হাতেই খুন(Murder) হয়ে গেলেন স্ত্রী। স্বামীও বিষ খেয়ে নিজেকে শেষ করে দিতে চাইলেন। যদিও এখন তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে। মহালয়ার পরে যখন শহর কলকাতায়(Kolkata) উৎসব আবহ জাঁকিয়ে নেমে এসেছ ঠিক তখনই, দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে এই ঘটনায় সবাই চমকে উঠছেন।
জানা গিয়েছে, বছর ৩২’র শুভেন্দু দাস পেশায় অটো চালক। টালিগঞ্জ থেকে বেহালা চৌরাস্তা রুটে অটো চালাতেন। এক বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন হরিদেবপুরের(Haridevpur) সোদপুর রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা কৃষ্ণা দে(২১)-কে। কিন্তু সেই বিয়ে দুই পরিবারের কেউই মেনে নেয়নি। রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হলেও সেই বিয়ে ভাঙার জন্য বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তি চলছিল। অশান্তির জেরেই কৃষ্ণা শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করা বন্ধ করে দেন। রবিবার রাত ১০টা ১৫মিনিটে ক্ররষ্ণার বাড়িতে চড়াও হন শুভেন্দু। ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপান কৃষ্ণাকে। তারপর নিজে বিষ খান শুভেন্দু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুইজনকেই এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা কৃষ্ণাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ও শুভেন্দুকে ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই অটোচালক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।