নিজস্ব প্রতিনিধি: মাধ্যমিক পাশ না করেও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বলে ভাটপাড়ার উপপুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলাও হয়েছিল। অবশেষে হাইকোর্ট সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল। আদালতে স্বস্তি পেলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ (Debojyoti Ghosh)। শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganugly) মামলাকারীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করলেন।
দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কোয়েনা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ছিল, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও প্রতি মাসে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে দেবজ্যোতি ঘোষকে শুক্রবার আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকি নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকেও নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজিরা দেন দেবজ্যোতি। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট, মার্কশিট, চাকরির নিয়োগপত্র, ডিএলএইড এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি নিয়ে আদালতে হাজির হন তিনি। সমস্ত নথি আদালতে জমা দেন দেবজ্যোতি ঘোষ। এরপর নথি খতিয়ে দেখে কোয়েনা দে’র অভিযোগ খারিজ করে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি ভুল তথ্য দেওয়ায় মামলাকারীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন তিনি। আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সেই টাকা দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনি যে বলছেন তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করেননি, এটা ভুল। মাধ্যমিকের অ্যাডমিট, মার্কশিট, নিয়োগপত্র, ডিএলএইড ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে জমা দিয়েছেন দেবজ্যোতি।’
শুক্রবার আদালতে দেবজ্যোতি ঘোষ দাবি করেন, ‘আমার কোনও পাসপোর্ট নেই।’ ভাটপাড়ার উপপুরপ্রধানের আইনজীবী শান্তনু মিত্র জানান, ‘যিনি মামলাকারী তাঁকে চিনি না। এর পিছনে কে আছেন দেখা হোক। মামলাকারী যে অভিযোগ করছেন তার কি অধিকার আছে? ক্ষতিপূরণ নেওয়া হোক।’