নিজস্ব প্রতিনিধি: এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। হাওড়া থেকে ওই যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমে ভাইজ্যাগ থেকে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করল সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঊষারানি নামের এক মহিলা তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে জব প্লেসমেন্টের কাজ করেন। তিনি কর্মসূত্রে সোনারপুরে থাকেন। ওই মহিলা বেশ কয়েকজনকে চাকরিও দিয়েছিলেন। চাকরি দেওয়ার সূত্রে কয়েকজনের কাছে কমিশন বাবদ কিছু টাকা পেতেন। আর সেই সূত্রে ওই মহিলাকে ৭ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে টোপ দেওয়া হয়। ৯ ই জুন ঊষারানি দেবী টাকা আনতে তাঁর ভাই পুক্কালি আমিনকে পাঠান হাওড়ায়। এর পর সেখানে একটি হোটেলে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আরও অভিযোগ জোর করে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশও করে দেওয়া হয়। এর পর একটি গাড়িতে ওই যুবককে তুলে নিয়ে চলে যাওয়া হয় অন্ধ্রপ্রদেশ। গোটা ঘটনা নিয়ে ১২ জুন সোনারপুর থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বারুইপুর পুলিশ জেলার সোনারপুর থানার পুলিশের একটি দল। তদন্তে নেমে ওই তদন্তকারীদের দল অন্ধ্রপ্রদেশ যায়।
অন্যদিকে ওই মহিলার ভাইকে অপহরণ করার পর অপহরণকারীরা ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর পর পুলিশের কথা মতো অপহৃত যুবকের পরিবারের লোকজন অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতেন। আর তাতেই ফল মেলে। অপহরণকারীদেরকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য ভাইজ্যাগের একটি হোটেলে ডাকা হয়। আর সেখান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। একইসঙ্গে অপহৃত যুবককেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে শনিবার সোনারপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছেন বলে অভিযোগ। তাদের খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।