নিজস্ব প্রতিনিধি: একাকী বৃদ্ধ -বৃদ্ধাদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার ও রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। কলকাতা পুলিসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে শহরের প্রবীণ মানুষদের হাতে হেলথ স্মার্ট কার্ড তুলে দিলেন নগরপাল বিনীত গোয়াল এবং নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন আলিপুর বডিগার্ড লাইনে কলকাতা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা(Annual Sports) সমাপ্তি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নগরপাল বিনীত গোয়াল , শশী পাঁজা, বিশিষ্ঠ পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীল, সমাজসেবী ডি. আশীষ , কলকাতা পৌর সংস্থার(KMC) কাউন্সিলর মীনাক্ষী গাঙ্গুলি সহ একাধিক অতিথিরা। হাজির ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কলকাতা পুলিশের সংগঠন দিশা ‘র বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে শেষে কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়াল জানান যে, কলকাতা পুলিশের শহরের প্রবীণ নাগরিকদের সংগঠন প্রনামের সদস্যদের জন্য বিভিন্ন কাজ করে থাকে । তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা থেকে নিয়ে তাদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য দিক থেকে ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করল। তিনি জানিয়েছেন যে এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবার পাশপাশি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের ব্যাবস্থা করা। তাদের কোনো রকমের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োজন হলে তাদেরকে হাসপতালে ভর্তি করার ক্ষেত্রে উপযোগী হবে এই স্মার্ট কার্ড। বিশেষকরে বেসরকারি হাসপাতালে যাতে তারা ন্যায্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পান। তার ব্যাবস্থা গ্রহন করল কলকাতা পুলিশ ,বলে জানান নগরপাল (CP)বিনীত গোয়াল। অনুষ্ঠানে হাজির নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী জানান, শহরে একাকী বৃদ্ধ -বৃদ্ধাদের জন্য স্মার্ট কার্ডের(Smart Card মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুযোগ সুবিধা পাবেন প্রবীণ নাগরিকরা। তিনি কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপের ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এদিন ঝাড়খণ্ডের(Jharkhand) আস্থা ভোটে হেমন্ত সরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার আস্থা ভোটে জ়লাভ নিয়েও মুখ খুলেন তিনি। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন যে ,আস্থা ভোটে প্রমাণিত যে যাদের কাছে মানুষের আস্থা নেই, তারাই ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় অনাস্থা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।
মানুষ তাদের রাজনীতি যে বুঝে গেছেন বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা(Sashi Panja)। এদিন মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) দমকলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। যেসব শিশুদের মা – বাবা ভরণপোষণ করতে পারেন না তাদের অভিভাবক হচ্ছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন যে আমরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি যদি কোনো মা -বাবা নিজেদের সন্তানকে ভরণপোষণ না করতে পারলে তারা রাজ্য সরকারের কাছে দিয়ে দেন। তাদের সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকারের নেবে। তিনি বলেন অনেক অভিভাবক আছেন যারা বাচ্চা দের দত্তক নিতে চান। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সেই মা বাবারা তাদের সন্তান কে দিতে পারেন। কিন্তু এই ভাবে নিজের সন্তানকে মেরে ফেলা একেবারে উচিত নয় বলে জানালেন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা।