নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের সঙ্গে দূরত্ব মিটে যেতেই ফের দলের হয়ে ব্যাটন হাতে রাজ্য রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়লেন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। রবি সকালে সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমত তুলোধনাও করলেন বিরোধীদের। সেটাও আবার তৃণমূলেরই(TMC) কার্যালয়ে বসে। সেই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই কুণাল দাবি করলেন, ‘আমরা যখন বলতাম সন্দেশখালিতে(Sandeshkhali) যা হচ্ছে তা একটা নাটক, তখন আমাদের সমালোচনা করা হত। আজ প্রমাণিত যে এটা নাটক। এটা বিজেপিই(BJP) করেছে, সিপিএম(CPIM) আর কংগ্রেস(INC) ধুনো দিয়েছে তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য। বাংলার মান সম্মান নিয়ে খেলেছে। বাংলার মা বোনেদের মান সম্মান নিয়ে খেলেছে।’ একই সঙ্গে কুণাল এদিন দাবি করেছেন যে, ‘’গঙ্গাধর কয়াল এবং যাদের যাদের নাম রয়েছে তাঁদের পুলিশ কাস্টডিতে নিতে হবে। এত বড় ঘটনা। বিজেপি চাপ সৃষ্টি করে সাক্ষ্য বদল করার চেষ্টা করছে। প্রভাব খাটাচ্ছে। ষড়যন্ত্র ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই ভিডিয়োয় যাদের নাম নেওয়া হয়েছে তাঁদের জেরা করতে হবে। দেখতে হবে এই চক্রান্তের পেছনে কে রয়েছেন?’
প্রসঙ্গত, গতকালই সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দেশখালি নিয়ে ৩২ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। এই ভিডিয়োটিতে সন্দেশখালির বিজেপির মন্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল দাবি করেছেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। বিজেপির এক শীর্ষ নেতার নামও তাঁর মুখে শোনা যায়। সেই ভিডিও ঘিরে গতকাল থেকেই রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়। একই সঙ্গে তৃণমূল তেঁড়েফুঁড়ে নেমে পড়েছে বিজেপিকে নিশানা বানাতে। আর গেরুয়া শিবির সেই আক্রমণের মুখে পড়ে রীতিমত গুটিয়ে গিয়েছে। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল সেই নিয়েই বক্তব্য রাখেন। কুণালের বক্তব্য, ‘কত রকম ষড়যন্ত্র হতে পারে! টাকার খেলা রয়েছে এর মধ্যে। কত অস্ত্র লাগবে? এই সব উঠে আসছে। এটা আমরা শুধু ভোট বলে দেখছি না। ওরা করেছে ভোটের জন্য।’ যদিও বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্য থেকে নির্বাচিত দলের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, এই ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। বিরোধী দলনেতাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এটি চক্রান্ত। সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের অপমান করছে তৃণমূল।