নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার আইন সংক্রান্ত বড়সড় পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার। তাই নবান্নে তিনি তলব করলেন আইনমন্ত্রী সহ তিন বিশিষ্ট পদাধিকারীকে। হাইকোর্টের নির্দেশে সমস্ত তদন্তভার যাচ্ছে সিবিআই- এর হাতে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, সব বিষয়েই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে অপদস্থ করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে জোট বাঁধার বার্তা দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও দেওয়া হয়েছিল চিঠি। ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেকও একই অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, ‘জনগণের ভোটে জয়ী হয়েছি। দিল্লির কাছে মাথা নত করব না। মাথা নত করতে হলে মানুষের কাছেই করব’।
মমতা বলেছিলেন, রাজ্যের সুরক্ষা সারা বছর যাদের হাতে তাঁদের ভরসা করা হচ্ছে না। এটা দুর্ভাগ্যের। আরও অভিযোগ, হাথারস- দিল্লি সহ একাধিক ঘটনায় বিরোধীদের এলাকায় ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না। মমতার প্রশ্ন, সেই সব তদন্তের ভার কেন সিবিআই-এর হাতে যায় না? বলেন, অবিজেপি দল এবং তার নেতৃত্ব বা অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের হেনস্থা করা হয় তদন্তের নামে। শুধু তাই নয় তাঁর অভিযোগ, সিবিআই তদন্ত হলেও সেই সময় বিজেপির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট আসলে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা। বলেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তের জন্য রাজ্য সমস্ত সহযোগিতা করলেও বিজেপি ও কেন্দ্র সেই তদন্তকে প্রভাবিত করে। এই পরিস্থিতিতেই আইনমন্ত্রী সহ তিন বিশিষ্ট পদাধারীকে তলব করেন মমতা। নবান্নে (Nabanna) বুধবার দুপুরে তলব করা হয়েছে তাঁদের।
এই তালিকায় আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে রয়েছেন এক সাংসদ ও এক বিধায়ক। এই সাংসদ ও বিধায়ক বিশিষ্ট আইনজীবী (Advocate)। জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ৩ টের সময় তলব করা হয়েছে এই তিনজনকে। আইনমন্ত্রী মলয়ের সঙ্গে আসছেন আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তিনি শ্রীরামপুরের সাংসদ। এদিন উপস্থিত হবেন বিধায়ক তথা আইনজীবী অশোক দেব। তিনি বজবজের বিধায়ক। আইন নিয়ে পরামর্শ ও পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই কারণেই হবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই তিন বিশিষ্ট আইনজীবী ও পদাধিকারীর বৈঠক।