নিজস্ব প্রতিনিধি: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের রাজপথে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দুটোর খানিকবাদে কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় মিছিল। ওই মিছিলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে গত মাস খানেক ধরে চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে থাকা সন্দেশখালি থেকে প্রচুর মহিলাও যোগ দিয়েছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, শেখ শাহজাহান অধ্যায় অতীত। জনদরদী মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অগাধ আস্থা রয়েছে তাঁদের।
প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কলকাতার রাজপথে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। কিন্তু এবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন মহাশিবরাত্রি হওয়ায় একদিন আগেই রাজপথে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি দালাল সংবাদমাধ্যম এবং বিরোধী দলগুলির সাঁড়াশি চাপে খানিকটা চাপে রাজ্যের শাসকদল। রাজনৈতিক পণ্ডিতরাও গেল গেল রব তুলেছেন। কিন্তু বাংলার মহিলাদের ‘আত্মমর্যাদায়’ প্রতিষ্ঠিত করা তৃণমূল সুপ্রিমো জানেন কীভাবে সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করতে হয়। কীভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে এগিয়ে যেতে হয়।
এদিনের মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আর সেই ভিড়ে নজর কেড়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ের মঞ্চেও তোলা হয় তাঁদের একাংশ। যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগেই তারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, সেখানে কেন শাসকদলের মিছিলে পা মেলালেন, এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। জবাবে সন্দেশখালি থেকে আসা সাবিত্রী সরকার জানান, এলাকায় যে সমস্যা ছিল, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সমাধান করেছেন। দখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত পেয়েছি। এর জন্য মমতা দিদিকে ধন্যবাদ জানাই।