এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্র দেয়নি তো কী হয়েছে, রাজ্যই দিল ১৩০০ কোটি টাকা

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার মানুষকে নিখরচায় ও সুলভ মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা(Health Treatment) দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ২০১১ সাল থেকেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির উন্নয়নের দিকে নজর রেখে চলেছেন। সেই সূত্রেই রাজ্যে চালু হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। প্রতিটি জেলায় তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। মমতার এই উদ্যোগ শুধু যে সাফল্যের নজীর গড়েছে তাই নয়, দেশের নানা মহলের নজরও কেড়ে নিয়েছে। প্রশংসিত হয়েছে মমতার পদক্ষেপগুলি। মমতার এই সাফল্যে ধাক্কা দিতেই প্যাঁচ কষে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের(National Health Mission) টাকা আটকে দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৬০:৪০ অনুপাতে টাকা মেটানোর কথা কেন্দ্র ও রাজ্যের। সেই হিসাবে কেন্দ্রের দেওয়ার কথা ৯৬০ কোটি টাকা। রাজ্যের দেওয়ার কথা ৬৪০ কোটি টাকা। কিন্তু মমতার সরকারকে প্যাঁচে ফেলতে কেন্দ্র ২৮০ কোটি দিয়েই হাত তুলে নিয়েছে। মমতা কিন্তু বাংলার(Bengal) মানুষের স্বাস্থ্যে আঁচ পরতে দেননি। রাজ্যবাসী যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান তার জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ১৩০০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের খাতে।

একুশের ভোটে ‘এব কে বার ২০০ পার’ শ্লোগান তুলে বাংলা দখলে নেমে পড়েছিল গেরুয়া ব্রিগেড। কিন্তু বাংলার মানুষের সমর্থনে তাঁদের হার মানতে হয়েছে বাংলার নিজের মেয়ের কাছে। তারপর থেকেই মোদি সরকার উঠেপড়ে লেগেছে বাংলার মানুষের পেটে লাথি মেরে তাঁদের উচিত শিক্ষা দিতে। সেই সূত্রেই তাঁরা ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছে। আসছে না আবাস যোজনার টাকাও। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকাও আটকে দিয়েছে। লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষকে শবক শেখানোর পাশাপাশি মমতার ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেওয়া। কিন্তু মমতাও রাজ্যের কোষাগার থেকে ১৩০০ কোটি টাকা বার করে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বুকে। সেই কারণেই রাজ্য তাদের নির্ধারিত অর্থের দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে এই খাতে। বাংলার মানুষও নির্বিঘ্নে রাজ্যের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে নির্বিঘ্নে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে চলেছেন। মোদির পরিকল্পনা কার্যত মাঠেই মারা পড়েছে।

রাজ্যের ক্ষেত্রে মমতার চালু করা স্বাস্থ্য দফতরের অজস্র উন্নয়নমূলক কাজ শুধু যে বাংলার মানুষের উপকারসাধন করেছে তাই নয়, সারা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছে। এর মধ্যে যেমন আছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, তেমনি আছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, বিনামূল্যের ওষুধ। আছে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসায় নিকু ও পিকু তৈরির ঘটনাও। নজর কেড়েছে রাজ্যে একের পর মেডিকেল কলেজ তৈরির ঘটনাও। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা আটকে মমতার এই সফল ভাবমূর্তিতে ধাক্কা দেওয়াই ছিল মোদি সরকারের লক্ষ্য। কিন্তু কেন্দ্রের টাকা না পাঠানোর জন্য বাংলায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজ আটকে যাক এটা মমতা চাননি। বরঞ্চ এই মিশনের গুরুত্ব অনুধাবন করে মমতা এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে কার্যত দ্বিগুণ টাকা বার করে দিয়েছেন, যাতে মানুষ কোনও ভাবেই চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। তিনি রাজ্যের কোষাগার থেকেই যতটা সম্ভব অর্থের জোগান দিয়ে গিয়েছেন। আর তার জেরেই মুখ পুড়ছে বিজেপির। মুখ পুড়ছে কেন্দ্রের। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজ্ঞাপনে তৃণমূলকে নিশানা, সুকান্তকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

ভোটের দিন হাওড়া, হুগলি ও উত্তর চব্বিশ পরগনাতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

৩ মাসের ভোট গেরোয় নতুন নাম নথিভুক্তকরণ বন্ধ স্বাস্থ্যসাথীতে, বিপাকে বহু পরিবার

ভোট বড় দায়, বামেদের মুখে ঝামা ঘষে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের পাশে বৃন্দা

শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনে ৩ কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

কেন এত সময় লাগছে? মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর